বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:বাংলার মানুষকে নিজের পরিবার বলেছিলেন। বাংলার মা – বোনদের দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। কিন্তু সেই বাংলাই মুখ ফিরিয়ে নিল বাংলার মানুষ। প্রধান মোদী নরেন্দ্র মোদীর ম্যাজিক কাজ করল না।
বাংলায় গেরুয়া রং যেন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেল। বাংলায় আবার সিগন্যাল গ্রিন। রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের বিশাল জয়। মোদী বাংলায় প্রচারে এলেন। প্রধানমন্ত্রীর আসার পরেও বাংলায় তেমন কোনও প্রভাব পড়ল না।
লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই শুরু হয়ে যায় তোড়জোড়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে প্রচারে আসবেন। সেই কথা জানা যায়। সাত দফায় ভোট ঘোষণা হয়। প্রত্যেক দফাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসবেন। সেই কথা ঘোষণা হয়ে যায়। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ একের পর এক প্রচার সভা করতে শুরু করেন মোদী।
জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে প্রথম ভোট প্রচার শুরু করেন। একের পর এক সভা করেন উত্তরবঙ্গে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকেন তিনি। সন্দেশখালি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তৃণমূলকে প্রবল আক্রমণ করেন। মহিলাদের উপর নির্যাতন নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি ছিল শেখ শাহজাহান প্রসঙ্গ।
উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, একের পর এক সভায় আরও জোরালো সওয়াল করতে শুরু করেছিলেন মোদী। বাংলায় এক একদিনে তিন চারটি সভাও করেছেন তিনি। দক্ষিণবঙ্গের রাঢ় বাংলা থেকে কলকাতার আশেপাশে একাধিক সভা করেছেন মোদী। শুধু তাই নয়, জোরালো ভাবে সওয়াল করেছেন তিনি রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় ভোটের প্রভাব কত হবে ? সেই নিয়ে শুরু হয়েছিল চর্চা।
মঙ্গলবার ফল বেরনোর পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে থাকে। তাহলে কি মোদী ম্যাজিক কাজ করল না বাংলায় কাজ করল না ? রাজ্যে এবার মোট ২২ টি সভা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। একটি রোড শো করেছেন কলকাতায়। তৃণমূল বরাবর কেন্দ্রের বিজেপি নেতাদের বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারির কথা বলে এসেছেন প্রচারে। তাহলে কি সেই কথাই এবার সত্যি হল ?
এবার মাত্র ১২ টি আসনে বাংলায় নেমে এসেছে বিজেপি। তৃণমূলের হাতে ২৯ টি আসন এল। ব্যাপক ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূলের সাংসদরা।