বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:ভোটের মাঝেই ফের তপ্ত সন্দেশখালি। বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার। বাঁশ দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এমনকী গুলি চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী। তিনি অভিযোগ করেছেন হঠাৎ করেই তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতিরা তাঁদের উপর চড়াও হয়।
বিজেপি কর্মীদের বাইক ভাঙচুর করে তাঁদের বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মেলেনি গ্রামে অভিযোগ করেছেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন গতকাল থেকে তাঁদের ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে শাসক দলের নেতা কর্মীরা।
সন্দেশখালি প্রথম থেকে বিজেপির পখির চোখ। শাহজাহান শেখেকে নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন সন্দেশখালির মা বোনেরা। সেই প্রতিবাদীকেই এবার সন্দেশখালিতে প্রার্থী করেছে বিজেপি। রেখা পাত্র ভোট দিয়ে জানিয়েছেন সন্দেশখালিতে বিজেপিরই জয় হবে।
কিন্তু গতকাল রাত থেকেই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামের মহিলারা। রাতে ঝাঁটা লাঠি হাতে গ্রাম পাহাড়া দিয়েছেন তাঁরা। গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন যাতে কেউ ভোট দিতে যেতে না পারেন সেকারণে ক্রমাগত ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোহ করেছেন গ্রামবাসীরা।
সন্দেশখালিকে হাতিয়ার করেই বিজেপি এবার ভোটের ময়দানে সুর চড়িয়েছিল তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু হঠাৎ করে সন্দেশখালির বিজেপি নেতার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় তা নিয়ে আবার রাজনৈতিক চাপান উতোর তৈরি হয়। সেই ভিিডওতে বিজেপি নেতা অভিযোগ করেছিলেন, সন্দেশখালিতে কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র ২০০০ টাকা নিয়ে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর তুমুল রাজনৈতিক চাপান উতোর তৈরি হয়েছিল। বিজেপি নেতা নেত্রীরা অভিযোগ করেন পুরোটাই ভুয়ো ভিডিও। এআই ব্যবহার করে তাঁর মুখে কথা বসানো হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল। রেখা পাত্রও সরাসরি এর নেপথ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের চক্রান্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তাঁদের ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা।
গতকাল থেকেই সন্দেশখালি তপ্ত হয়ে রয়েছে। কোনও ভাবেই অশান্তি এড়ানো যাচ্ছে না গ্রামে। ভোটের দিনেও সন্দেশখালিতে ধরা পড়ল সেই অশান্তির ছবি। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপরে চড়াও হওয়ার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। তাঁদের বাইক ভাঙচুর করা হয়। একাধিক জায়গায় বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপরে চড়াও হয় তারা বলে অভিযোগ। সকাল থেকে গ্রামে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।