বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: তদন্ত তো চলছে। সকলেরই তলব হবে নির্বাচনের পর। তাড়াতাড়ি ডাক পাবেন। চা খাওয়ার সুযোগ পাবেন। অনেকেই ভিতরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। বিধাননগরের তৃণমূল কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীকে সিবিআই তলব প্রসঙ্গে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
এদিন তিনি প্রাতর্ভ্রমণে ইকো পার্কে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলে গিয়েছেন, তদন্ত এগোবে চার তারিখের পর, তৃণমূলের নেতারা যেন তৈরি থাকেন।
কলকাতার নরেন্দ্র মোদীর রোড শোয়ের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো-এর কথা শোনা গিয়েছে। এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেন, ঠিকই আছে। অনুকরণ করছেন উনারা। মোদী তো মোদিই, দিদি কখনও মোদী হতে পারবেন না।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন, ষষ্ঠ দফাযর শেষ ২৩ টা আসন পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, কনফার্মলি বলছেন, কনফার্মলি হারবেন। তিনি বলেছেন, ২০১৯-এ বলেছিলেন ৪২ টি পাবেন। তৃণমূল নেমে গিয়েছিল ২২-এ। এবার আরও বারোটা সিট কমবে বলেও দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ।
ঘূর্ণিঝড় রেমালে রাজ্যে ক্ষতি হয়েছে। এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সার্ভে করেছে সরকার। ১৫ দিনের মধ্যে সাহায্য পৌঁছে যাবে। এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেন, আম্ফান এর মতো কুড়ি হাজার করে টাকা। গতবারেও তো সার্ভে হয়েছিল, তারপর দেখা গেল ক্ষতিগ্রস্ত নয়, টিএমসি কর্মীদের বাড়িতে টাকা পৌঁছে গিয়েছে। এবারও সেই রাস্তা খুঁজছেন, দলের লোকেদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য।
২০১০ সালের পরে ৭৭ টি মুসলিম গোষ্ঠীকে যে ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে, তা বাতিল করার পক্ষে রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই রায়ের পরেই তার সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হচ্ছেন সেই নেত্রী, আদালত যখন তাঁর পক্ষে রায় দেয়, তখন ধন্যবাদ জানান। আর যখন বিপক্ষে রায় যায় তখন আদালতকে মানেন না, তখন সমালোচনা করেন। ভারতবর্ষে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এই ধরনের রাজনীতি কেউ করেন না। সংবিধান সেই অনুমতি দেয়নি। মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, বাঁচার রাস্তা নেই। যাঁদেরকে সুবিধা দেবেন বলে সার্টিফিকেট পাইয়ে দিয়েছিলেন, তাঁদেরকে সান্ত্বনা দেবেন কী করে?
বারাসতের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেছেন, গ্রামের মহিলারা মুড়ো ঝাঁটা নিয়ে তৈরি। এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, উনি কি বেরিয়েছেন? গেছেন কোথাও? উনাকে তো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। বর্ধমান দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী বলেছেন, উনি বোধ হয় সেই ভয়টা করছেন। মহিলাদের সঙ্গে তৃণমূল যে ব্যবহারটা করেছে, যেমন তাদের জেলা সভাপতি বলছেন, লজ্জা করছে ভোট চাইতে! ওনার লজ্জা করছে লোকের কাছে যেতে। চার জুন এলে সব জবাব পেয়ে যাবেন, মানুষ সব জবাব দিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার অশোকনগরে নির্বাচনী সভা করেন। তারপরেই অভিযোগ উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর আগমণের জন্য হেলিপ্যাড তৈরি করতে মাঠের দফারফা হয়ে গিয়েছে। এব্যাপারে তৃণমূল জেলাশাসককে চিঠিও দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করলে মাঠ নষ্ট হয় না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আসবেন হেলিপ্যাড হবে, সেখানে নতুন তো কিছু নেই। ওরা (তৃণমূল) যখন মেলা করে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মাঠে, স্কুলের মাঠগুলোয় মেলা করে টাকা তোলে তখন কিছু হয় না। ওরা শুধু পয়সা কামায় কিন্তু রিপিয়ারিং কিছু হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।