বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হাওড়ার পাঁচলা বিধানসভার বেলডুবি গ্রামের বাসিন্দারা। বিরোধী দলের মানুষজনদের অনেকেই ঘরছাড়া বলে অভিযোগ। গত ২০ মে ভোট শেষ হতেই শুরু হয় হামলা। বাড়ি ভাঙচুর থেকে মারধর এমনকি পুলিশ দিয়ে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন গ্রামের বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী সমর্থক।
অভিযোগ, প্রতিদিন রাতে চলছে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি। এলাকার বাইরে দিন কাটছে অনেকের। জনৈক বিজেপি কর্মী বলেন, তাঁরা প্রায় ৬০০ জন ঘরছাড়া। কারণ, তাঁরা বিজেপি করেন। পুলিশ ও গুন্ডাবাহিনী তাঁদের মারধর করছে বলে অভিযোগ ওইসব বিজেপি কর্মীদের। যে কারণে তাঁরা অন্য জায়গায় থাকছেন বলেও জানিয়েছেন। তবে সেইসব জায়গাতেই সুরক্ষা মিলছে না। কোনও বাড়িতে ঢুকতে দেখলেই তাড়া করছে।
ঘর ছাড়া বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, সন্দেশখালি করে দেবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আতঙ্কে গ্রামের অধিকাংশ বাড়ি পুরুষ শূন্য। আবার অনেক বাড়িতে কেউ নেই। এইসব বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের প্রশ্ন কেন তাঁরা অত্যাচারিত হবেন? তাঁরা শান্তিতে থাকতে চান বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, ভোটের দিন বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে সেখানে সন্ত্রাস চালিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী চোষে বেড়িয়েছে যাতে ভোট না পড়ে। বিধায়ক গুলশন মল্লিকের দাবি, বহু তৃণমূল কর্মী সেখানে ঘরছাড়া। পাঁচলার তৃণমূল বিধায়ক গুলশান মল্লিক বলেন, তৃণমূলের অনেক লোক ঘরছাড়া, বিজেপির লোক নয়।
তিনি আরও দাবি করেন, পাঁচলার মতো শান্তিপূর্ণ ভোট আর অন্য কোথাও হয়নি। এমনকি সারা ভারতের মধ্যেও পাঁচলার মতো এমন শান্তিপূর্ণ ভোট হয়নি। তৃণমূলের অনেকেই ভোট দিতে পারেননি বলে দাবি করেছেন তিনি। সেই কারণে তৃণমূলের ভোট কম হয়েছে। ওরা কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে, তাই অনেক কথা বলছে। তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, ৪ জুন নির্বাচনের গণনার পর ওঁরা কেঁচো হয়ে যাবে।