বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:আজই সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলার শুনানি। তার মাঝেই আবার ২০১৪-র টেট পরীক্ষার শুনানি রয়েছে হাইকোর্টে। এই নিয়ে নতুন করে চাকরিহারানোর সিঁদুরে মেঘ উঁকি দিচ্ছে। এবার কি ২০১৪-র টেট পরীক্ষা বাতিল করে দেবে হাইকোর্ট এই আশঙ্কায় ভুগছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষাতেও বিপুল দুর্নীতি হয়েছে বলে তদন্তে জানতে পেরেছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার দেওয়া রিপোর্টে ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে এই পরীক্ষায়। তারপরেই যোগ্য অযোগ্যদের বাছাই করে পর্যদকে রিপোর্ট জমা দিতে বলে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে চলছে মামলার শুনানি।
প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার OMR শিট আদালতে পেশ করতে বলেছেন বিচারপতি মান্থা। এই পরীক্ষার OMR শিট যদি যদি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ জমা দিতে না পারে তাহলে ফের অসংখ্য শিক্ষকের চাকরি যেতে পারে। কারণ আদালত সেই পরীক্ষাটি বাতিল করে দিতে পারে। ফলে নতুন করে চাকরি হারানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে রাজ্য।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীিতর অভিযোগে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট তার জেরে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক চাকরি হারা হয়েছেন। এই নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। রাজ্য সরকার হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। এদিকে আজই মামলার শুনানি। জানা গিয়েছে, আজ সংখ্যাতত্ব দিয়ে যোগ্য অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের চিহ্নিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তার মাঝেই আবার ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা মামলা। সিবিআইয়ের রিপোর্টের ভিত্তিতে যদি হাইকোর্ট রায় দেয় তাহলে চাপ বাড়বে তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন শিক্ষকরা। সিবিআই আদালতে যে রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে সরাসরি দুর্নীতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিনা টেন্ডার ডেকেই মানিক ভট্টাচার্যের সংস্থাকে টেট পরীক্ষার বরাত দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য।