বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা শোনা যাচ্ছিল ধর্মেন্দ্র-হেমা কন্যা এষা দেওলের ঘর ভাঙছে। এষা নাকি দুই মেয়েকে নিেয় মায়ের কাছে এসে রয়েছেন। সেই জল্পনায় অবশেষে সিলমোহর দিলেন এষা নিজেই। তিনি জানিয়েছেন স্বামী ভরত তক্তানির সঙ্গে তিনি আর থাকেন না।

বিচ্ছেদের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন ধর্মেন্দ্র কন্যা। এষা জানিয়েছেন দ্বিতীয় সন্তান হওয়ার পর থেকে ভরত নাকি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগত। সে মনে করত তাকে অবহেলা করছেন এষা। তাই নিয়ে বিরক্ত হয়ে যেত সে। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে অশান্তি বেড়ে িগয়েছিল। তারপরেই তারা আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।

২০১২ সালে ভরতের সঙ্গে এষার বিয়ে হয়। দুই সন্তান রয়েছে তাঁদের। রাধ্যা এবং মিরায়া। দ্বিতীয় সন্তান হওয়ার পর একটি বই লিখেছিলেন এষা। তাতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে দ্বিতীয় সন্তান হওয়ার পর থেকে ভরত িনজেকে অবহেলিত বলে মনে করত। সেকারণে প্রায়ই তার সঙ্গে অশান্তি লেগে থাকত। এষা তাঁকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছে না বলে বারবার অভিযোগ করত ভরত।

এষা সেই বইয়ে স্বীকার করেছেন যে তিনি সেসময় দুই সন্তান এবং তাঁর কাজ িনয়ে এতোটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে ভরতকে সময় দিতে পারতেন না। তার অনেক কিছুই করে উঠতে পারতেন না তাতেই ভীষণ রেগে যেতেন ভরত। এবং নিজেকে অবহেলিত বলে মনে করতে শুরু করেন। তারপরেই শুরু হয় অশান্তি।

যদিও এষা লিখেছেন নিজের ভুল বুঝতে পেরে তিনি সংশোধন করে নিয়েছিলেন। নিজের একাধিক কাজের মাঝেও ভরতের খোঁজ খবর নিতেন। তাঁর সঙ্গে ছুটি কাটাতে যেতেন। যদিও শেষ পর্যন্ত সম্পর্ক টেকেনি। হেমা মালিনীর জন্মদিনের অনুষ্ঠােনও দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকী এষা দেওলের জন্মদিনেও ছিলেন না তাঁর স্বামী। তারপরে জল্পনা শুরু হয়েছিল। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *