বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:ব্যাপারটা পরিষ্কার করে জানালেন কলকাতায় কর্পোরেশনের এক আধিকারিক। তিনি জানালেন, এতে একসঙ্গে দুটি সমস্যা মিটবে। কলকাতার যে সমস্ত অঞ্চলে বৃষ্টিতে প্রচুর জল জমে সেই সমস্ত অঞ্চলে জল জমার পরিমান কমবে ও কলকাতার ভৌত জলের স্তর বাড়বে। শহরের ৫০ জায়গায় বসানো হচ্ছে কূপ ৷ বৃষ্টির জল দিয়ে হবে ভূ-গর্ভস্থ জলের রিচার্জ ।

জমা জলের সমস্যা কমার পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ জলতলের মাত্রা বৃদ্ধিতে সার্বিকভাবে বিপর্যয় মুক্তি ঘটবে কলকাতায় । কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, ওয়াটার পকেট হিসেবে পরিচিত এমন 50টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে । যেখানে ফাইবারের ইকো ব্লক বসানো হবে । মাটি কেটে এই বক্সটা মাটির নিচে বসানো হবে । বক্সের নিচের অংশে কূপের মতো করে ৩০ মিটার গভীরে পাইপ ঢোকানো হবে । আমাদের কলকাতায় মাটির নিচে ২৮-৩০ মিটার গভীরে একটা বালি স্তর আছে । যেখানে পানীয়জলের স্তর আছে সেখানে সরাসরি নয়, উপরে বালি স্তরে জল ফেলা হবে । যখন বৃষ্টি হবে তখন জিও ব্লকের মাধ্যমে জল যাবে কূপ মারফত । সেই জল শোধন করেই যাবে । একদম আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে এই প্রকল্পের জন্য।

পূর্ণ উদ্যোমে এই প্রকল্প রূপায়নে এগিয়ে চলেছে কলকাতায় পৌরনিগম। এক একটি ইকো ব্লক ৫০ হাজার লিটার জল ধারণের ক্ষমতা রাখে। এই ইকো ব্লক বসাতে ৭ মিটার দৈর্ঘ্য, ৪ মিটার প্রস্থ জায়গা লাগবে, যার গভীরতা হবে ২ মিটার । এক একটি ইকো ব্লক বসাতে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা খরচ । অর্থাৎ, ১৫ কোটি টাকা ন্যূনতম খরচ হবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে । সেই টাকা দেবে ন্যাশনাল ডিজস্টার রিডাকশন ম্যানেজমেন্ট অথরিটি। যদি এটা ঠিক মতো করা যায় তাহলে কলকাতার মাথায় বসবে নতুন মুকুট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *