বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: এই মুহূর্তে সবচেয়ে চর্চিতা নাম ডাক্তার সন্দীপ ঘোষ। তিনি সদ্য পদত্যাগ করেছেন আর জি কর হসপিটাল থেকে। তারপরে সরকার তাকে পুরস্কার হিসাবে ন্যাশনল মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল করে দিলেও ছাত্রদের প্রবল বিরোধিতায় তিনি ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ঢুকতে পারেন নি।
আবার আদালতের নির্দেশে তিনি লম্বা ছুটিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এ হেন ডাক্তার সন্দীপ রায় আগে থাকতেন বারাসাতের মল্লিক বাগানে। সেখানে নার্সিংহোমে প্র্যাকটিস করতেন। চেম্বারও করতেন। কাজেই পাড়ায় পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সদ্য মা হওয়া স্ত্রীর পেটে লাথি মারেন সন্দীপ। সেই সময় সদ্যোজাতর বয়স ছিল চোদ্দ দিন। শুধু সন্দীপ নয়, তাঁর মায়ের ব্যবহার নিয়েও উঠেছিল বিস্তর অভিযোগ। অভিযোগ তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করতেন।
মল্লিক বাগানের মানুষদের একগুচ্ছ অভিযোগ ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে। মল্লিকবাগানের বাসিন্দা বলেন, “তখন সন্দীপ ঘোষ নয়, নাম ছিল ডক্টর এস ঘোষ। অর্থপেডিক সার্জেন্ট। তাঁকে দেখাতে অনেকেই এই বাড়িতে আসতেন। ওঁর বাড়িতে একবার গন্ডগোল হয়। আমরা গিয়েছিলাম। উনি ওঁর স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছিলেন। মাত্র চোদ্দ দিন ছিল বাচ্চা হয়েছে। শুনেছি সেই সময় যিনি স্ত্রী ছিলেন উনি নীলরতনের চিকিৎসক।” অনেকেই অভিযোগ করেন তিনি অকারণে পেশেন্টদের থেকে ডবল ফিস নিতেন। খুবই খারাপ ব্যবহার করতেন মানুষদের সঙ্গে।