বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বিজেপি রাজ্যে ভোটের আগেই সন্ত্রাস করতে শুরু করে দিয়েছে? উপরতলার নির্দেশেই কি এই সন্ত্রাস শুরু করেছে বিজেপি? নন্দীগ্রামে হামলার ঘটনায় জখম কয়েক জন তৃণমূল কর্মী। সেই বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। বিজেপির প্রতি কটাক্ষ করলেন।
বুধবার সন্ধের পর থেকেই উত্তপ্ত নন্দীগ্রামের একটা অংশ। তৃণমূলের বিগ্রেড চলোর প্রস্তুতি সভা হচ্ছিল গোকুলনগরে৷ সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হন কয়েক জন তৃণমূল কর্মী। বিজেপি এই আক্রমণ চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
সামনেই লোকসভা ভোট। গরম তাওয়া যেন আরও উত্তপ্ত হচ্ছে। নন্দীগ্রামে তৃণমূলের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ালো। বৃহস্পতিবার সকালেই তৃণমূল কংগ্রেস সাংবাদিক বৈঠক করল। মন্ত্রী শশী পাঁজা সরাসরি বিজেপির দিকে আঙুল তুললেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারাসতে সভা করলেন৷ এক মাসে তৃতীয় বার এলেন৷ তারপরেই এই আক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের পরেও একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনাও দেখা গিয়েছে৷ নেতৃত্ব এসে কি বিশেষ কোনও নির্দেশ দিয়ে যান? প্রশ্ন করলেন শশী পাঁজা।
প্রি পোল ভায়োলেন্স বিজেপি শুরু করে দিয়েছে। এভাবেই কি নেতৃত্বের থেকে বিশেষ নির্দেশ আসে? বাংলায় অরাজকতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়? নন্দীগ্রামে আহতদের ছবিও সাংবাদিক বৈঠকে দেখান মন্ত্রী। বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, গতকাল বুধবার নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মহেশপুর বাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের জনগর্জন সভার সমর্থনে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক, তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অসিত ববন্দ্যোপাধ্যায় , তমলুক সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি আজগর আলি সহ তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়। এই দুষ্কৃতীরা বিজেপি আশ্রিত বলেই দাবি তৃণমূলের। বিজেপির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসে নেতা ও কর্মীরা। ঘটনায় জখম হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অশোক দাস ও কর্মী ভরত দাস।
তৃণমূল কর্মীকে মারধরের প্রতিবাদে গতকাল রাতে মহেশপুর বাজারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ করে তৃণমূল কংগ্রেসে কর্মীরা। মারধরের ঘটনা অস্বীকার বিজেপি নেতৃত্বদের। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বদের দাবি এটা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।