বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতায় জিপিও থেকে ইস্তফাপত্র বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। এরপর সেই ইস্তফাপত্রের প্রতিলিপি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে জমা দেবেন।
আর সেই প্রক্রিয়া শেষ হলেই শেষবারের মতো কলকাতা হাইকোর্ট ছাড়বেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) । এরপরেই সল্টলেকে নিজের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করবেন বিচারপতি। যদিও প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে সাংবাদিক বৈঠক করার কথা ছিল।
কিন্তু নিরাপত্তার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট-বিধানসভার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। আর সেই কারণেই নিজের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) । সেখান থেকে কি বলবেন সেদিকেই নজর সবার। কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাও স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে বিচারপতির ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, আগামী ৭ তারিখ বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। তমলুক আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন বলেও জোর জল্পনা। বলে রাখা প্রয়োজন, সোমবারই সমস্ত মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি নিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান আইনজীবীরা।
মামলার শুনানিতে আইনজীবী কমলেশ ভট্টাচার্য বলেন, আপনি চলে গেলে অনেক ক্ষতি হবে। আমাদের ছেড়ে যাবেন না। কাজ এখনও আপনার শেষ হয়নি বলেও বিচারপতিকে জানান আইনজীবী। তবে তা শুনতে রাজি হননি। পালটা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, হাইকোর্টে কাজ করার সময় আমার ফুরিয়েছে।
এখন থেকে নিজেকে অন্য কাজে নিয়োজিত করব বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বিচারপতির কথায়, আমি ২৯ বছর ধরে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। সকলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে।
সোমবার শেষবারের মতো এজলাসে বসেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। অনেকের কাছেই ভগবান হয়ে উঠেছিলেন। ইস্তফার কথা শুনে অনেকেই ছুটে এসেছিলেন সোমবার আদালত কক্ষে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। কেউ বলেন, ১৭ নম্বর এজলাস ছিল আমাদের কাছে মন্দির, আপনি চলে গেলে আমাদের কি হবে? যদিও আমার জায়গায় অন্য কেউ আসবেন। নিশ্চয়ই তিনি আপনাদের সুরাহা করবেন বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি।