বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
বয়স ৭০ পেরিয়ে গিয়েছে। বয়সের ভারে তিনি বৃদ্ধ। কিন্তু মনের ভিতর গনগনে আঁচ। আর সেই আঁচে ভর করেই তিনি হেঁটে চলেছেন। লক্ষ্য অযোধ্যার রামমন্দির। রামলালাকে তিনি চাক্ষুস দর্শন করতে চান। আর সেজন্যই তিনি হাঁটছেন।
রাস্তা অসীম৷ অসমের ডিব্রুগড় থেকে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা। কার্যত ধনুক ভাঙা পণ করে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। হেঁটেই তিনি রামমন্দির যাবেন। ২২ জানুয়ারির আগেই রামমন্দির পৌঁছাতে বদ্ধপরিকর ভবানী প্রসাদ রিমাল। সোমবার তিনি এসে পৌঁছালেন পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি।
অযোধ্যার রামলালার মন্দির উদ্বোধন নিয়ে উত্তেজনা দেশজুড়ে। মন্দির উদ্বোধনের সাক্ষী থাকতে অভিনব উপায়ে সেখানে পৌঁছে ইতিহাস গড়তে চাইছেন অনেকেই। কেউ সাইকেল চালিয়ে, কেউ বা গাড়ি নিয়ে অযোধ্যায় পৌঁছতে উদ্যোগী। আর সেই লক্ষ্যেই অসম থেকে হাঁটছেন ভবানী প্রসাদ রিমাল।
২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন। সেই অনুষ্ঠানে সাক্ষী থাকতে ডিব্রুগর থেকে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার উদ্দেশ্যে তিনি হেঁটে চলেছেন। সোমবার জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর ছেড়ে যাওয়ার সময় তাঁকে দেখা গেল। পেশায় গো- পালক এই বৃদ্ধের আশা, তিনি ২১ তারিখেই পৌঁছে যাবেন রাম জন্মভূমি।
হেঁটে অযোধ্যা পৌঁছানো মুখের কথা নয়। ভবানী প্রসাদের যুক্তি, রামলালা মন্দির উদ্বোধনের সাক্ষী থাকতে এই সিদ্ধান্ত। ঐতিহাসিক মুহূর্ত নিজের চোখে দেখতে পাওয়াটা ভাগ্যের। বিগত প্রায় ১০ দিন ধরে রোজ সারাদিন এবং সন্ধ্যার কিছু সময় তিনি হেঁটে চলেছেন জাতীয় সড়ক ধরে। রাত কাটাতে ভরসা পথের ধারের কোনও মন্দির বা পেট্রোল পাম্প। শীতের কনকনে রাতে এটুকুই যা বিশ্রাম। আবার ভোরের আলো ফুটতেই যাত্রা শুরু।
পথ মোটেও কম নয়। দীর্ঘ প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে পৌঁছবেন অযোধ্যা। রাস্তায় বহু মানুষ তাঁদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কিছুই নেননি তিনি। পায়ে হেঁটে যাত্রার গল্প শুনে অনেকেই গাড়িতে লিফট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন বিনয়ের সঙ্গেই।
বহু মানুষ জল, খাবার দিয়েছেন। দিনের আলো নিভলে শীতের রাতে আশ্রয়ের জন্য বাড়িতে থাকতে অনুরোধ করেছেন। তবে তিনি কোনও কিছুকেই গ্রহণ করেননি। বৃদ্ধের দাবি, কষ্ট করলেই রামকে পাওয়া যায়।