বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

 

 

 

লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে এই কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই অনুষ্ঠানে আসার কথা আছে। এদিকে ওই অনুষ্ঠানের আগেই রাজ্যে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান। রবিবার সকাল থেকেই গীতাপাঠের অনুষ্ঠান চলছে হুগলিতে।

হুগলি জেলার মাহেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ জায়গা। মাহেশের মন্দির থেকে প্রতি বছর জগন্নাথ দেব, বলরাম ও সুভদ্রার রথ বার হয়। মাহেশের মন্দিরে বহু মানুষের সমাগমও হয় প্রতিদিন। সেই মাহেশের মন্দিরেই এবার গীতাপাঠের অনুষ্ঠান করা হল। রবিবার সকালে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়৷

এই ঘটনা নিয়ে রবিরারের সকালে রাজনৈতিক চাপানউতোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। তাহলে কি রাজনৈতিক গরমাগরমে মাহেশের নাম কোথাও গিয়ে জড়িয়ে গেল? সেই প্রশ্ন উঠছে অন্দরে৷ রবিবার সকাল থেকে মাহেশের মন্দিরে গীতাপাঠের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও বিশ্বশান্তির জন্য যজ্ঞের আয়োজন করা হল।

মাহেশের জগন্নাথ দেবের মন্দিরের এই আয়োজন ঘিরেই চলছে চাপানউতোড়। এদিনের এই কর্মসূচি নিয়েছে মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ড। দুই হাজার কণ্ঠে এদিন গীতাপাঠের আয়োজন করা হয়। নারী- পুরুষ নির্বিশেষে এই গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে যোগদান দেখা গিয়েছে৷ নাট মন্দির ও সংলগ্ন জায়গায় এই গীতাপাঠের আয়োজন করা হয়৷
এই অনুষ্ঠান ঘিরেই তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোড়। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ওই অনুষ্ঠানে শাসক দলের নেতা – মন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অন্য কাউকে ডাকা হয়নি। এদিন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে মন্দিরে দেখা যায়। তিনি গীতাপাঠ অনুষ্ঠানেও যোগ দেন। এছাড়াও রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার সংকল্প অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এখানে রাজনীতির বিষয় নেই৷ তিনি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবেই এখানে যোগ দিয়েছেন। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রত্যেকেই যোগ দিতে পারেন। এমনই মনে করেন সাংসদ। আগামী ২৪ ডিসেম্বর কলকাতার ব্রিগেডে বিজেপির তরফে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন করা হচ্ছে।

তার আগেই মাহেশে দুই হাজার কণ্ঠে গীতাপাঠ হয়ে গেল। রবিবারের শীতের সকালে রাজনৈতিক বিতর্কও লেগে গেল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *