বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

 

 

 

আলিপুরদুয়ারের সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এনআরসি – সিএএ বিতর্ককে আরও একবার উসকে দিলেন। এই রাজ্য থেকে কোনও উদ্বাস্তুকে সরানো যাবে না। স্থায়ী ঠিকানা এই রাজ্যের বর্তমান সরকার তাদের দিয়েছেন। এমনই বক্তব্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কেন্দ্রের বঞ্চনার কথাও উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। দাবিদাওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যাচ্ছেন। সেই কথাও আলিপুরদুয়ারের মঞ্চ থেকে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ এসেছেন। তার মধ্যে সভা ও অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তিনি।

নতুন তৈরি হয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা। সেখানেই রবিবার দুপুরে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। একদিকে তিনি উন্নয়নের বার্তা দিয়েছেন তিনি৷ পাশাপাশি কেন্দ্রের প্রতি বিরোধিতার সুরও চড়িয়েছেন। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথাও মুখ্যমন্ত্রীর কথাও উঠে এসেছে তাঁর গলায়।

তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বাস্তুদের নিয়ে বক্তব্য৷ এই রাজ্য থেকে কোনও উদ্বাস্তুকে সরানো যাবে না। তিনি অভয় দিয়েছেন, কেউ তাদের সরাতে পারবে না। হটাতে পারবে না। লোকসভা ভোট আর কয়েক মাস বাকি৷ এদিকে এনআরসি, সিএএ চালুর বিষয়কে ফের উসকে দিয়েছে বিজেপি৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উদ্বাস্তু ইস্যুকে সামনে রেখে বার্তা দিলেন। মমতা এদিন বলেন, সমস্ত উদ্বাস্তু কলোনির পাট্টা দিয়েছি। কোনও উদ্বাস্তু কলোনির কেউ বলতে পারবেন না, তিনি বাইরে থেকে এসেছেন। তিনি বলতে পারবেন চিরস্থায়ী ঠিকানার কথা। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের তৃণমূল সরকার তাদের পাশে আছে। একথাও জোর দিয়ে বলেন তিনি।

এদিকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে উত্তরবঙ্গ থেকে অভিযোগ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ি তৈরির টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না। সেজন্য প্রচুর কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এক লক্ষ ১৫ হাজার টাকা কেন্দ্রের কাছে পাওনা আছে। সেই কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছেন। দিল্লি গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করবেন। বাংলার পাওনা নিয়ে কথা বলবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, গরিব মানুষের টাকা দিতে হবে। নইলে গদি ছাড়তে হবে।

উত্তরবঙ্গে গিয়ে এবার কল্পতরুর ভূমিকায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিন আদিবাসীদের জন্য আরও সুবিধার কথা জানালেন। কোনও আদিবাসী পরিবারে একজনের সরকারি আদিবাদী সংশাপত্র থাকলেই হবে। পরিবারের সকলেই আবেদন করতে পারবেন। তাদের সুবিধাও দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *