বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি গ্রেফতার করল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে। রাতেই তাঁকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন ইডির আধিকারিকরা। তাঁকে যাওয়া হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি ইডির সূত্রে। শনিবার শঙ্কর আঢ্যকে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে ইডি।
প্রসঙ্গত শুক্রবার রেশন দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছিল সকাল সাতটার আশপাশে। প্রায় সতেরো ঘন্টা পরে রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ গ্রেফতার করা হয় বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধানকে। ইডি সূত্রে খবর সন্দেহজনক লেনদেন ও বক্তব্যে অসঙ্গতির কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়ার পরে শঙ্কর আঢ্য জানিয়েছেন, তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে তদন্তে সহযোগিতা করবেন।
গভীর রাতে শঙ্কর আঢ্যয়কে গ্রেফতারের পরে বনগাঁর বাড়ি থেকে নিয়ে বেরনোর সময় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ইডির আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন স্থানীয় মহিলারা। সেই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে ইঁটও ছোড়া হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লক্ষ্য করে গালাগালিও দেওয়া হয়। সকালে সন্দেশখালির ঘটনা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠি চালায় বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার ইডির তল্লাশি চলে শঙ্কর আঢ্যের ভাই মলয় আঢ্যের গাঁইঘাটার আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে। এছাড়া শঙ্কর আঢ্যের কর্মী বিশ্বজিৎ ঘোষ ও অঞ্জন মালাকারের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চলে। বাঘাযতীনে শঙ্কর আঢ্যের চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি।
ইডি সূত্রে দাবি শঙ্কর আঢ্যের শ্বশুরবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি নথি ঘেঁটে লেনদেন সংক্রান্ত যে নথি পাওয়া গিয়েছে তা সন্দেহজনক বলে দাবি করা হয়েছে ইডির সূত্রে। প্রসঙ্গত শুক্রবার সকাল প্রায় সাড়ে সাতটা নাগাদ বনগাঁর শিমূলতলায় শঙ্কর আঢ্যের শ্বশুর বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। মধ্যে শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ফের তাঁর শ্বরশুরবাড়িয়ে যায় ইডির দল। সেখানে রাত সাড়ে নটা পর্যন্ত তল্লাশি চলে বলে জানা গিয়েছে।
রাতেই ফের শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। সেখান থেকে রাত প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতাকে। শঙ্কর আঢ্যের স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্য জানিয়েছেন, সাড়ে সাতটা থেকে তল্লাশি হয়েছে। সবরকম সহযোগিতা করা হয়েছে। এরপর রাত বারোটা নাগাদ একটা কাগজ দেখিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিঠি বলে দাবি করে, শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করা হয়। স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।