বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বলছেন, বিজেপির ফল এবারের লোকসভা নির্বাচনে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের চেয়েও খারাপ হবে। ভালো ফল করবে তৃণমূল কংগ্রেস।
অভিষেকের ভবিষ্যদ্বাণীই যেন প্রতিফলিত হচ্ছে লোক পোলের মেগা সার্ভেতে। যাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯-এর তুলনায় অনেক কম আসন পাবে বিজেপি।
বিজেপি কেন খারাপ ফল করবে, তাও উঠে এসেছে সমীক্ষা রিপোর্টে। পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা আসন ৪২টি। প্রতিটি কেন্দ্রে ১৩৫০ জনের মতামতের ভিত্তিতেই এই প্রাক-নির্বাচনী সমীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে লোক পোল। যা হাসি ফোটাবে তৃণমূলের।
সরকার-বিরোধী ভোটের বেশিরভাগটাই রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির ঝুলিতে যাবে বলে সমীক্ষায় প্রকাশ। কিছুটা যাবে কংগ্রেসের ঝুলিতে। সিএএ লাগু করা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ব্যুমেরাং হবে বলেও সমীক্ষা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে। নমঃশূদ্র ও রাজবংশীদের আস্থা ফেরাতে সক্ষম হবে তৃণমূল।
সমীক্ষা রিপোর্টে উল্লেখ, এই সম্প্রদায়ের মানুষজনের অনেকেরই সিএএ রেজিস্টারের জন্য প্রয়োজনীয় নথি নেই। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের বোঝাতে পেরেছেন, সিএএ-র পরই আসবে এনআরসি, ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর প্রক্রিয়াই শুরু হয়েছে।
মমতা বারবারই বলছেন, বাংলায় সিএএ, এনআরসি চালু হতে দেবেন না। সে কারণে মমতার বক্তব্যেই আস্থা রাখছেন এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষজন। ফলে সিএএ-র কথা বলতে গিয়ে নিজেদের মাটিই আলগা করেছে বিজেপি, তেমনটাই আভাস সমীক্ষায়।
সিএএ লাগুর বিষয়টি মুসলিম সম্প্রদায়কে আরও সঙ্ঘবদ্ধ করেছে। দক্ষিণবঙ্গে সে কারণে সংখ্যালঘু ভোট যাবে তৃণমূলের ঝুলিতে। মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরে সংখ্যালঘু ভোট অনেকটাই পাবে কংগ্রেস, আভাস মেগা সার্ভেতে। রাজ্যে সংগঠন মজবুত না থাকা এবং রাজ্য সরকারের তৎপরতায় বিজেপি সন্দেশখালি ইস্যুর লাভও ভোটে ওঠাতে পারবে না বলে সমীক্ষায় আভাস।
লোক পোলের প্রাক-নির্বাচনী সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, গত লোকসভা ভোটের ২২টি আসন এবার বেড়ে থাকতে পারে ২৬ থেকে ২৮-এর মধ্যে। বিজেপি ২০১৯ সালে পেয়েছিল ১৮টি আসন। তা কমে হতে পারে ১১ থেকে ১৩। কংগ্রেস ২ থেকে ৪টি আসন পাবে।