বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: নবান্ন-রাজভবন সংঘাত চরমে! বৃহস্পতিবারই শিক্ষামন্ত্রীর (WB Education Minster) পদ থেকে ব্রাত্য বসুকে সরানোর সুপারিশ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor of West Bengal)। যা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক। আর সেই বিতর্কের মধ্যেই বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ।

 

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দুর্নীতি, হিংসার অভিযোগ তুলে এদিন এই নির্দেশ দেন রাজ্যপাল বোস (C. V. Ananda Bose)। আর এহেন নির্দেশ ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। নির্বাচনের সময় এহেন নির্দেশ কীভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। এমনকি রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। যদিও পালটা যুক্তি বিজেপির।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দুর্নীতি, হিংসার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এমনকি নির্বাচনের প্রচারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (C. V. Ananda Bose)। পাশাপাশি একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। আর তা পাওয়ার পরেই বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

চান্সেলর হিসাবে এই নির্দেশ তিনি (C. V. Ananda Bose) দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। রাজ্যপাল বোসের কথায়, সত্য জানাটা জরুরি। অন্যদিকে রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, সব অভিযোগের সত্যাসত্য খতিয়ে দেখবে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি। সুপ্রিম কোর্ট এবং কলকাতা হাই কোর্টের কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কমিটির নেতৃত্ব দেবে বলেও এদিন জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এই নির্দেশ সামনে আসার পরেই এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যেখানে রাজ্যপালের ক্ষমতা আচার্য প্রয়োগ করতে পারেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

কার্যত একই মত বাম-কংগ্রেসেরও। রাজ্যপালের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্নে শাসকের পাশে বিরোধীরা। যদিও রাজ্যপাল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে পালটা দাবি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের। দাবি, রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। আএ সেই ক্ষমতা বলেই এই নির্দেশ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দিয়েছেন বলেও দাবি বিজেপির। কোথাও কোনও সমস্যা না থাকলে তদন্তের ক্ষেত্রে তৃণমূল কেন এত ভয় পাচ্ছে তা নিয়ে পালটা দাবি বঙ্গ বিজেপির।

বলে রাখা প্রয়োজন, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করে বৃহস্পতিবার টুইট করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। যদিও তা পরে মুছে দেওয়া হয়। আর তা নিয়ে বিতর্ক চরমে। বিষয়টি হাস্যকর বলে পালটা বার্তা শিক্ষামন্ত্রীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *