বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:তাপপ্রবাহ শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে লু বওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তার মাঝে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে লোডশেডিং এবং জলকষ্ট। চৈত্র থেকেই হাওড়া, পশ্চিমবর্ধমান থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় তীব্র জলকষ্ট শুরু হয়ে গিয়েছে।
এই নিয়ে নবান্নে জেলা শাসকদের নিজে জরুরি বৈঠক করা হয়েছে। তাতে বিদ্যুই এবং জল সরবরাহ পর্যাপ্ত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে কথা বলা হয়েছে পুরসভা গুলির সঙ্গে। যেসব জায়গায় জলসংকট দেখা দিচ্ছে সেখানে জলের গাড়ির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ থেকেই তাপমাত্রার পারদ চড়তে শুরু করেছে কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে। সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে লু বইবে বলে সতর্কতা জারি করেছে জেলা শাসক। ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্যে। চৈত্রেই তাপমাত্রা চড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন জায়গায়। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছে যাবে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সকাল ৮টা থেকেই রোদের তেজ বাড়তে শুরু করেছে। দুপুরে কেউ রাস্তায় বেরোচ্ছে না এতোটাই রোদের তেজ। সকাল সকাল কাজ সেরে সকলে বাড়ি ঢুকতে চাইছেন। কিন্তু ভোট সেটার কি হবে। ভোটের জন্য প্রচার তো জারি রাখতেই হবে। ভোটের প্রচারেও প্রার্থীরা সকাল সকাল সেরে নিতে চাইছেন। আবার বিকেল থেকে তাঁরা প্রচার করছেন।
এদিকে গরম বাড়তেই জেলায় জেলায় জলসংকট দেখা দিয়েছে। হাওড়া জেলায় গতকালই জলের জন্য বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বাসিন্দারা। মন্ত্রী অরূপ রায়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার একাধিক জায়গায় তীব্র জলসংকট দেখা দিয়েছে। জলের দাবিতে অনেক জায়গায় পথ অবরোধ পর্যন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। এই তীব্র গরমে জল না থাকলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ আরও বাড়বে।
তড়িঘড়ি সেকারণে বৈঠক ডাকে নবান্ন। সেখানে জেলা শাসকদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। তাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই তীব্র গরমে যাতে জলসংকটের কঠিন পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য জলের ট্যাঙ্কারের বন্দোবস্ত করতে হবে। কোন কোন এলাকায় জলের সমস্যা হচ্ছে এই সময় সেই সেই জায়গায় জলের ট্যাঙ্কার মজুত রাখতে হবে।