বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::আপাতত জেল হেফাজতে দিন কাটছে সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। তবে ইডি এবার তাকে হেফাজতে পেতে চাইছে।
রেশন দুর্নীতি নিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এই তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা। যার জন্য ইডি এদিন বসিরহাট মহকুমা আদালতে আবেদন করেছে। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুরও করে। তারপর ইডি শেখ শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
ইডি সূত্রে খবর. তারা রেশন দুর্নীতি মামলা ছাড়াও, বিদেশে আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত লেনদেন-সহ একাধিক বিষয়ে বসিরহাট উপ সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। যে কারণে বসিরহাট মহকুমা আদালতে আবেদন।
এদিন ইডির তরফে বসিরহাট মহকুমা আদালতে যায় পাঁচজনের একটি দল। নিরাপত্তায় ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইডির আধিকারিকদের সঙ্গে ছিল ল্যাপটপ, স্ক্যানার, প্রিন্টার-সহ বেশ কিছু কাগজপত্র।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে করে গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। কিন্তু সেখানে শেখ শাহজাহানের বাহিনী বেধড়ক মারধর করে ইডির আধিকারিকদের। এরপর ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎ সন্দেশখালির মহিলারা পথে নামেন। শেষ পর্যন্ত শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ।
পরবর্তী সময়ে তদন্তের কারণে শেষ শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয় রাজ্য পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমা আদালত শেখ শাহজাহানকে বারো দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
ইডির রেশন দুর্নীতির মামলার তদন্তে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে আমদানি-রপ্তানি মামলায় একাধিক অভিযোগ পেয়েছে। এব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, এমনটাই খবর ইডির সূত্রে। সেই জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ইডি শেখ শাহজাহানকে তাদের হেফাজতে নিতে চায়।
ইতি সূত্রে খবর সাম্প্রতিক সময়ে শেখ শাহজাহানের প্রায় তেরে কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে গাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট ছাড়াও রয়েছে মাছের ভেড়ি। সন্দেশখালি ছাড়াও এইসব সম্পত্তি রয়েছে সরবেড়িয়া ও কলকাতায়।
শেখ শাহজাহান দাবি করেছে, আড়ালে থাকা ৫৬ দিনের পুরো সময়টাই সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় নাকি কাটিয়েছে সে। সন্দেশখালিকেই নিরাপদ মনে করলেও বারে বারে আশ্রয় বদল করতে হয়েছে। সেই সময় ইডি তাকে ধরতে লুক আউট নোটিশ জারি করলেও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সিবিআই সূত্রে ইতিমধ্যেই দাবি করা হয়েছে, তাদের জেরায় শেখ শাহজাহান দাবি করেছে, দলের লোকেরাই ফাঁসিয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে করা পোস্টে দাবি করেছিলেন, শেখ শাহজাহান মমতার পুলিশের শেল্টারে ছিলেন। সেই সময়ের স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কললিস্ট ও শেখ শাহজাহানের কল লিস্ট সিবিআই-এর হাতে বলে সূত্রের খবর।