বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ লাগু করার পর থেকেই রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছিল।
এমনকি এই ইস্যুতে কূটনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে। এবার শুরু হল আইনি লড়াই।নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ), ২০১৯ প্রয়োগ স্থগিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
গত সোমবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সেই আইন কার্যকর করেছে কেন্দ্র। নতুন এই আইন অনুসারে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে মুসলিম বাদে ধর্ম- হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের যে সব মানুষ প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে ভারতে এসেছেন, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।যদিও এই আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা বলা হয়নি। আগেই সিএএ-র বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এআইএমআইএম প্রধান। এবার সরাসরি আইনি লড়াইয়ে নামলেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি জানিয়েছেন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের হিন্দু এবং শিখদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরুদ্ধে নন। তাঁর কথায়, , “আপনি এই আইনটি তৈরি করছেন, কারণ, আপনি যখন ভবিষ্যতে দেশে এনপিআর এবং এনআরসি করবেন, তখন ভারতের কোটি কোটি মুসলমান রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়বে।’ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ আবার বহু লোককে প্রতিবাদ করে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবে।
এরআগে সিএএ কার্যকরের ঘোষণা হতেই কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন এআইএমআইএম সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তাঁর দাবি, এই আইনটি গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। ওয়াইসি জোর দিয়ে বলেন, ‘সিএএ আইন মুসলমানদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক করে তুলবে।’
যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও মুসলিমকেই দেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে না। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি অহেতুক ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করছে।
সিএএ লাগু করার পর থেকেই দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বিজেপিরর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কংগ্রেস প্রথমেই জানিয়েছিল, সিএএ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হল নয়টি এক্সটেনশনের পরে, এই সময়টি বেছে নেওয়া হয়েছে স্পষ্টতই নির্বাচনের মেরুকরণের জন্য করার জন্য, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমে। বিরোধিতায় সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলও।