বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ভর্তি হলেন বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। জানা গিয়েছে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হচ্ছে অভিনেতার। শুক্রবার সকালেই নাকি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হার্টে বেশ কয়েকটি ব্লকেজ ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেকারণেই তাঁর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ৮১ বছর বয়স অভিনেতার। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাঁর পায়েও রক্ত জমাট বাধা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। অভিষেক বচ্চনের ট্যুইটে সেকথা জানা গিয়েছিল।
কয়েকদিন আগেই অমিতাভ বচ্চনের হাতে একটি এপারেশন হয়েছিল। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে খুব একটা সুস্থ ছিলেন না তিনি। প্রায় অসুস্থ হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। গত কয়েক মাসে বেশ কিছু কাজ তিনি কমিয়ে দিয়েছেন। কৌন বনেগা ক্রোড়পতি থেকেও বিদায় নিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। দীর্ঘ ৭ বছর এই রিয়েলিটি শোটি পরিচালনা করেছিলেন তিনি।
বেশ কিছু বিজ্ঞাপনে কাজ করলেও খুব বেশি কাজ করছেন না তিনি। বয়স এবং অসুস্থতার কারণে ধীরে ধীরে কাজের চাপ কমাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি তাঁর পরিবারেও চিড় ধরতে শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। অমিতাভ বচ্চনের ছেলে এবং ছেলের বউয়ের মধ্যে বিচ্ছেদের জল্পনা তৈরি হয়েছে। ঐশ্বর্যা রাইয়ের সঙ্গে নাকি বিচ্ছেদের পথে এগোচ্ছে। যদিও তাঁরা এই নিয়ে কোনও মন্তব্য প্রকাশ্যে করেননি। জানা গিয়েছে ঐশ্বর্যা নাকি অন্য বাড়িতে থাকতে শুরু করেছেন।
তবে এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে আরাধ্যার স্কুলের অনুষ্ঠানে এবং আম্বানিদের বিয়ের অনুষ্ঠানে বচ্চন পরিবারকে একসঙ্গেই দেখা গিয়েছিল। অভিষেক এবং ঐশ্বর্যা রাই একসঙ্গেই মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন আম্বানিদের বিয়ের অনুষ্ঠানে। ধীরুভাই আম্বানি স্কুলের ছাত্রী আরাধ্যা। স্কুলের অ্যানুয়াল ডে অনুষ্ঠানে আরাধ্যার পারফরমেন্স নজর কেড়েছিল। আবার আম্বানিদের বিয়ের অনুষ্ঠানে আরাধ্যার লুকও নজর কেড়েছে নেটিজেনদের।
মূলত শ্বেতা বচ্চন নন্দার সঙ্গেই নাকি ঐশ্বর্যার বনিবনা হয় না। শ্বেতা ডিভোর্সি। নন্দা পরিবারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। রাজ কাপুরের মেয়ে নীতা নন্দার ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল শ্বেতার। কিন্তু বিয়ের পর খুব বেশিদিন তাঁরা একসঙ্গে থাকেননি। শ্বেতা দুই সন্তানকে নিয়ে বাবার কাছেই থাকেন। অমিতাভ পত্নি জয়ার সঙ্গেও ঐশ্বর্যার তেমন বনিবনা হয়নি। তাই নিয়েই পারিবারিক অশান্তি এখন চরমে।