বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির আঙিনায় পদার্পণ করেই বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ইউসুফ পাঠান। বহরমপুর লোকসভা আসনে তাঁকে প্রার্থী করল তৃণমূল। যেখানে প্রার্থী হবেন লোকসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
১৯৯৯ সাল থেকে টানা বহরমপুর লোকসভা আসনে জিতছেন অধীর। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি হারিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীদের। সেখানেই জোড়াফুল ফোটানোর দায়িত্বে ইউসুফ।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ইন্দ্রনীল সেনকে ৩,৫৬,৫৬৭ ভোটে হারিয়েছিলেন অধীর। যদিও ২০১৯ সালে সেই ব্যবধান কমে আসে অনেকটাই। তৃণমূলের অপূর্ব সরকারকে হারিয়েছিলেন ৮০,৬৯৬ ভোটে। এই লোকসভা ক্ষেত্রের ৬টি বিধানসভাতেই তৃণমূলের বিধায়ক রয়েছেন।
বহরমপুর বিধানসভা আসনে ২০২১ সালের নির্বাচনে জেতেন সুব্রত মৈত্র। কংগ্রেসের কোনও বিধায়ক নেই। ফলে এবারের লোকসভা ভোটেই কি ভাঙবে অধীর মিথ? বিজেপি এবার এই আসনে প্রার্থী করেছেন জনপ্রিয় চিকিৎসক ডা. নির্মল কুমার সাহাকে। অধীরের চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন হলো ইউসুফ আসায়।
তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছে, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলার এই আসনে সংখ্যালঘু ভোট অনেকটাই সুনিশ্চিত করতে পারবেন ইউসুফ পাঠান। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা কলকাতা নাইট রাইডার্সে দীর্ঘদিন খেলার সুবাদে তাঁর জনপ্রিয়তা এমনিতেই রয়েছে। সেটাই কতটা ভোটের বাক্সে প্রভাব ফেলে সেটা অবশ্যই দেখার।
ইউসুফ অবশ্য অধীর গড়ে জোড়াফুল ফোটাতে বেশ আত্মবিশ্বাসী। তৃণমূলের প্রস্তাবে রাজি হয়ে বহরমপুরের প্রার্থী হিসেবে বলেন, কলকাতায় এলে সব সময়ই ভালোবাসা পাই। এবার এখানকার মানুষের সেবা করতে চাই। মানুষের কথা তুলে ধরতে চাই সংসদে। মানুষকে সাহায্য করতে চাই।
মানুষের সেবা করা, তাঁদের কথা সংসদে তুলে ধরার রাস্তা খুলে যাবে, এই সম্ভাবনার কথা বলেই ইউসুফের সম্মতি আদায় করেছে তৃণমূল। কথা হয়েছে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। বহরমপুরে কখনও তৃণমূল জেতেনি শুনে ইউসুফ বললেন, সব জিনিসের বদল হয় ভালোর জন্যই। সে জন্যই এসেছি। এখানকার মানুষকে সাহায্য করতে চাই।
ইউসুফ অবশ্য এখনই বহরমপুরে যাচ্ছেন না। তিনি এদিন কলকাতা ছাড়ার আগে জানান, শ্রীলঙ্কায় যাব। একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলছি। অর্থাৎ এই টুর্নামেন্ট খেলেই ফের বাংলায় আসবেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য তথা প্রাক্তন নাইট ইউসুফ।
ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর। ইরফান এক্স হ্যান্ডলে দাদা ইউসুফের উদ্দেশে লেখেন, “তোমার ধৈর্য্য, উদারতা, কোনও সরকারি পদে না থেকেও দুঃস্থদের পাশে থেকে সাহায্য করা সব সময় পরিলক্ষিত হয়। আমি নিশ্চিত রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করার সময়েও তোমার কাজ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা বদলে সহায়ক হবে।”