বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান চলছে শেখ শাহজাহানের আকুঞ্জিপাড়ার বাড়িতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের দল সন্দেশখালিতে সরেজমিনে তদন্ত করছে। সঙ্গে রয়েছে ফরেন্সিক দলের সদস্যরা। পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে।
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলা হয়। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের নেতৃত্বেই হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। সেই ঘটনার পরে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। এখন সিবিআই হেফাজতে শেখ শাহজাহান। আর তার বাড়িতে পৌঁছে গেল সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।
সেই সন্দেশখালির ওই জায়গায় কী হয়েছিল? কত সংখ্যায় হামলাকারীরা এসেছিল? কীভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা? হামলা কীভাবে সংগঠিত করা হয়েছিল? সেইসব প্রশ্ন খুঁজছেন সিবিআই আধিকারিকরা। শুক্রবার সিবিআইয়ের সঙ্গে ফরেন্সিক দলও সেখানে গিয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ করছে।
কীভাবে ওই ঘটনা ঘটেছিল? তার সূত্র বের করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ এখন আর পাওয়া সম্ভব নয়। কারণ রক্তের দাগ ও অন্যান্য সূত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সংগ্রহ করতে হয়। এক্ষেত্রে দুই মাস পেরিয়ে গিয়েছে। তাই সেইসব কোনও কিছুই পাওয়া সম্ভব হবে না।
এখন পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি ও নমুনা সংগ্রহের দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। শেখ শাহজাহানের বাড়ি ও আশেপাশের জায়গা খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইসব ছবি আঁকা হচ্ছে। ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে প্রতিটি পদক্ষেপের। শেখ শাহজাহানের বাড়ির ভিতরেও ফরেন্সিক দল গিয়েছিল। ঘটনার দিন শেখ শাহজাহান বাড়িতে ছিল কী? তারও নমুনা ও তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইডি আধিকারিকদের দুই সদস্য এদিন সন্দেশখালিতে গিয়েছেন। ৫ জানুয়ারি হামলার সময় তারা সন্দেশখালিতে ছিলেন। সেই ঘটনা আধিকারিকরা তদন্তকারীদের জানাচ্ছেন। পাশাপাশি ফরেন্সিক দলকে সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী শুক্রবার সন্দেশখালিতে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, দুই কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার নিজাম প্যালেস থেকে সকালে বার করা হয় শেখ শাজাহানকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সাংবাদিকরা একাধিক প্রশ্ন করেছিলেন তার উদ্দেশ্যে। কিন্তু কোনও কথাই বলেননি তিনি।