বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ২৬ এর নির্বাচনের আগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুর সবার গলায়।

রাজ্যে সম্প্রীতির সুর নষ্ট করতে চাইছে,
নাম না করে বিজেপিকে টার্গেট।

 

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,আজ খুশির ঈদ সবাই ভালো থাকুক।আমাদের দেশ এবং পশ্চিমবঙ্গেও যে সুর বাজে।সেটা হল সম্প্রীতি।যে যে ধর্ম পালন করবে।কিন্তু উৎসব সবাই মিলে পালন করুক।দুর্গা পুজো ঈদ বড়দিন সবই।মিষ্টতা সুর সেই সুর যেন বজায় থাকে সম্প্রীতি যেন বজায় থাকে।যে অপশক্তি এই সুরের বাইরে গান গায়।যে অপশক্তি সম্প্রীতিকে নষ্ট করে আজকে ঈদের দিনে সেই প্রার্থনা করি সেই অপশক্তিকে যেন বিনষ্ট করে।গত ১৪ বছর ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলা চলছে।সেই বাংলা সম্প্রীতির বাংলা।কালকে আমি একটা কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছি যার পিছনে একজন মুসলিম প্রধানের হাতে আছে।এটাই পশ্চিমবঙ্গ।

 

কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলেন,আজ খুশির ঈদ আর কয়েকদিন পরেই রামনবমী।এই দুই উৎসবেই যাতে সম্প্রীতি বজায় থাকে সেটার জন্য প্রশাসন যাতে সজাগ থাকে।আমি প্রার্থনা করব যাতে সবার ঘরে আলো থাকে।এর মধ্যেও কিছু কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে।প্রশাসন যদি সঠিকভাবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তাহলে ভালো হয়।ভ্রাতৃত্ব বোধের উপরে আমাদের আস্থা আছে।এর মধ্যেও রাজনৈতিক দল ধর্মীয় মেরুকরণ করার চেষ্টা হচ্ছে।
আমি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যাকে ঈদ মুবারক জানালাম।এই বাংলা রামকৃষ্ণের মাটি তার বানী,যত মত তত পথ এর মত সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাকুক।

 

সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সদস্য তীর্থঙ্কর রায় বলেন,প্রতিবছরই আসি শুভেচ্ছা বিনিময় করতে।আজকে শুধু নয় গোটা বছরই যোগাযোগ থাকে।শান্তি সম্প্রীতি বজায় থাকুক।প্রত্যেকেই তার ধর্ম পালন করুক উৎসব পালন করুক এটাই ভারতবর্ষের ঐতিহ্য।কেউ কেউ সেই ঐতিহ্যকে ভাঙার চেষ্টা করছে।প্রত্যেকেরই তার নিজের নিজের ধর্ম পালন করার অধিকার আছে।জুট মিলে শ্রমিক সংগঠন করেন তীর্থঙ্কর তাই তার যোগাযোগ সারা বছরই থাকে শ্রমিকদের সঙ্গে।তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে আজ উপস্থিত হননি বল জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *