বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: হঠাৎ দেখলে মনে হতে পারে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষনা কেন্দ্র।রকেট উৎক্ষেপনের জন্য প্রস্তুত মহাকাশ যানা।
দাঁড়িয়ে দেখলে ভুল ভাঙবে।এটা আসলে বিশাল আকার জাম্বো অক্সিজেন সিলিন্ডার।যে সিলিন্ডারে ১৩ হাজার লিটার তরল অক্সিজেন জমা থাকবে।রাজ্য সরকারের ৫০ লক্ষ টাকা খরচে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে তৈরী হয়েছে এই প্রকল্প।
হুগলি জেলা হাসপাতাল চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে লিকুইড মেডিকেল অক্সিজেন বা এলএমও প্ল্যান্ট বসেছে।এতদিন অক্সিজেন ছোটো ছোটো সিলিন্ডারে ভরে গাড়ি করে আনা হত।
এখন জাম্বো সিলিন্ডার থেকে সরাসরি ওয়ার্ডে অক্সিজেন সরবরাহ হবে পাইপ লাইনের মাধ্যমে।
এর ফলে বছরে চার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে স্বাস্থ্য দপ্তরের।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক মৃগাঙ্ক মৌলি কর জানান,অক্সিজেনের চাহিদার কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য দপ্তরে আবেদন করা হয়েছিল।সেইমত ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। তরল অক্সিজেন ট্যাঙ্কারে করে ভরে দিয়ে যাবে।তা দশ দিন চলবে।শেষ হওয়ার আগে আবার রিফিল করা হবে।গাড়ি করে ছোটো সিলিন্ডারে অক্সিজেন ভরে আনায় অনেক ঝক্কি ছিল তা আর পোহাতে হবে না।যে কর্মিরা অক্সিজেন সরবরাহের দায়িত্বে থাকতেন তাদের আর ২৪ ঘন্টা সতর্ক থাকতে হবে না।পাইপ লাইন করাই আছে হাসপাতালে যার মাধ্যমে সরাসরি আইসিইউ, ওটি, থেকে প্রয়োজনীয় সব ওয়ার্ডে রোগির বেডে পৌঁছে যাবে অক্সিজেন।
এতে করে এক কালীন হয়ত কিছু টাকা খরচ হল কিন্তু এর ফলে দীর্ঘ মেয়াদী সুবিধা হবে।যে সংস্থা এই কাজ করেছে তারাই রক্ষনাবেক্ষন করবে।
এলাকার বাসিন্দা থেকে রোগির পরিজন বলছেন,অক্সিজেনের প্রয়োজন মেটাতে স্বাস্থ্য দপ্তরের এই উদ্যোগ খুবই কাজে লাগবে।
করোনা কালে অক্সিজেনের হাহাকার দেখা দিয়েছিল।সেরকম পরিস্থিতি হলে এবার আর কোনো সমস্যা হবে না।
ইমামবারা জেলা হাসপাতালে সারে ছশো বেড আছে।আগামী দিনে আরো বেড বারবে।তখন এই প্ল্যান্ট খুবই কার্যকরি হবে বলে জানান হাসপাতাল সুপার অমিতাভ মন্ডল।তিনি বলেন,বছরে দশ কোটি টাকা খরচ হত অক্সিজেনের জন্য।এখন তা থেকে প্রায় চার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।