বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:: পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বছর সাতাশের মৃতা সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় গত রবিবার হুগলির চন্দননগর থেকে বিহারের গয়া যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও জনা তিনেক ছিলেন। অভিযোগ, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ এলাকায় একটি পেট্রল পাম্পে গাড়িতে জ্বালানি ভরার পরে, অন্য একটি সাদা গাড়ি তাদের ধাওয়া করে।
ওই সাদা গাড়ি থেকে জনা পাঁচেক যুবক ওই মহিলা কর্মীর দিকে নানা নানা অশালীন ইঙ্গিত করতে থাকে বলে অভিযোগ। পানাগড় বাজারের রাইসমিল রোডের কাছে ওই যুবকদের গাড়িটি সুতন্দ্রাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই সুতন্দ্রার মৃত্যু হয়। আরও দু’জন গুরুতর আহত হয়ে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পরে গাড়ি ফেলে রেখে ওই যুবকেরা পালিয়ে গিয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে। সুতন্দ্রার এই ঘটনার পরই রাজ্যব্যাপী নারী নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে সারা জাগিয়েছে। কেটে গিয়েছে তিন তিনটে দিন এখনো পর্যন্ত অধরা দুষ্কৃতীরা। তিনটি দিনের মধ্যে তার চন্দননগর নারুয়া রায়েরগলির বাড়িতে উপস্থিত হয়েছেন বিরোধীদলের নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল সহ সিপিএম নেতা মোহাম্মদ সেলিম মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ আজ দুপুর নাগাদ উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও। তার বাড়িতে ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ বিষয়ে তদন্ত জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও।
সকলের মুখেই উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গে নারীদের প্রতি নিরাপত্তার বিষয়।