বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:পশ্চিমবঙ্গে ‘দুর্নীতি’ শব্দটা অবশ্য এখন ডাল, ভাতের মতো প্রাত্যহিক ব্যবহার করা একটি শব্দ। নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, গরু পাচার দুর্নীতি তো আছেই, এবার পাসপোর্ট দুর্নীতি।
বর্তমানে পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে রাজ্য রাজনীতি বেশ উত্তাল। আর সেই উত্তাল পরিস্থিতিতে পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন SI (প্রাক্তন সাব-ইন্সপেক্টর)। অর্থাৎ পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে, পুলিশের হাতেই গ্রেপ্তার হলেন প্রাক্তন পুলিশকর্মী। প্রাক্তন এই পুলিশ আধিকারিক, কলকাতা পুলিশের ‘সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেসন’ এর (SCO) পাসপোর্ট সেকশনে কর্মরত ছিলেন। অবসরপ্রাপ্ত এই পুলিশ কর্মী পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের কাজ করতেন। ৩রা জানুয়ারি গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। আর কারা কারা কিভাবে এর সঙ্গে যুক্ত তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
এবার একে একে সামনে আসছে বহু তথ্য। নাগরিক মহল কিছুটা শঙ্কিত যে ‘কেঁচো খুঁড়তে না কেউটে’ বেরিয়ে পড়ে। ধৃত আব্দুল হাইকে আপাতত জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কলকাতা গোয়েন্দা অফিসাররা অর্থাৎ তদন্তকারী অফিসাররা নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন। আর তাঁকে জেরা করি পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের তথ্য পাওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। এর আগে ২০২৪ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কলকাতার অন্তর্গত ভবানীপুর থানায় প্রথম এই পাসপোর্ট জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসে এবং সেই জালিয়াতির তদন্তে নেমেই কলকাতা পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। এখনো পর্যন্ত মোট ৯ জন ব্যক্তিকে পাসপোর্ট জালিয়াতি কান্ডে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাসপোর্ট জালিয়াতি কান্ডে তদন্ত চলাকালীন পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে বেশ কিছু পুলিশ আধিকারিক জড়িত আছেন বলে ইঙ্গিত মিলে ছিল। আর সেই জালিয়াতি কান্ডের তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ বিরাট সাফল্য পেল। পাসপোর্ট কোনো ব্যক্তিকে দেওয়ার আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এই দায়িত্ব বিশেষ ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীদেরই দেওয়া হয়। খবরে প্রকাশ এক একটা জাল পাসপোর্টের জন্য কয়েক লক্ষ টাকা ডিল হতো।