বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আধুনিক বিশ্ব মনে করে, শিল্পীর কোনো জাত হয় না। শিল্পী দেশকাল ও জাত-ধর্মের উর্দ্ধে। এবং সেই মানসিকতাকেই বলা হয় আধুনিকতা।

 

নিউটাউনে জ্যোতি বসু গবেষণা কেন্দ্রের ভবনের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরি বন‌্যা! এই খবর পেয়েই ক্ষোভ উগ্রে দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। ১৭ জানুয়ারি ওই অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করারও কথা রেজওয়ানার। ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি নিউটাউনেই বসছে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকও। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা সিপিএমের পলিট ব্যুরোর কোঅর্ডিনেটর প্রকাশ কারাতেরও। উপস্থিত থাকবেন রাজ্য স্তরের সমস্ত নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন রাজ্যের অনেক শিল্পী সাহিত্যিক।

বাংলাদেশ ইস্যুতে সরব রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের অর্ন্তবর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষকে। দিলীপ ইতিমধ্যেই বাংলাদেশি পণ্য বয়কটের ডাকও দিয়েছেন। এদিকে এহেন পরিস্থিতিতে রেজওয়ানাকে পার্টির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সিপিএম। তাঁর প্রচুর ভক্ত রয়েছে এ রাজ্যেও। ভারত সরকার তাঁকে পুরস্কৃতও করেছে। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের খোঁচা, ‘‘বাংলাদেশের নাগরিকরা ভারতের বিরোধিতা করছে, গালমন্দ করছে। ওখান থেকেই শিল্পীদের আনতে হচ্ছে কেন? এখানে কি শিল্পী নেই। জানি না কমিউনিস্টদের বুদ্ধি কবে সোজা হবে। এত পীরিত দেখানো ঠিক নয়।’’ এই প্রসঙ্গে সিপিএম রাজ‌্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সংবাদমাধ‌্যমে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সৌহার্দ‌্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে আমরা মনে করি ঐক‌্য বজায় থাক।’’ বাম নেতৃত্ব মনে করেন, বাংলাদেশ দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এখন খুবই তলানিতে। বাংলাদেশে মৌলবাদীরা মাথাচারা দিয়েছে। তার মোকাবিলা করতে হবে রাজনৈতিক ভাবে। কিন্তু সাংস্কৃতিক মেল বন্ধন অটুট রাখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *