বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে আবার কি ‘নবীন-বনাম’ সংঘাত সামনে চলে আসলো। নানা কারণে একটা বিষয় বেশ পরিষ্কার যে ফিরহাদ যতটা মমতা ভক্ত ততটা অভিষেকের নয়।
আর সেই কারণেই হয়তো দলে ফিরহাদের আধিপত্য কমছে। তাকে সরানো হয়েছে হিডকোরে চেয়ারম্যানের পদ থেকে। সেই অবস্থাতেই সামনে আসলো ১জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে ফিরফাদ হাকিমের বক্তব্য। সেই বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে।
প্রথম – তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে সকালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে শুভেচ্ছা বার্তা এক্স হ্যান্ডেলে পোষ্ট করেছেন, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নেই। আর ঠিক তার পরেই ফিরহাদ বলেন -”তৃণমূল কংগ্রেস মানে কেবল পাওয়ারে থাকে না, এর পিছনে রয়েছে হাজার হাজার মানুষের আত্মত্যাগ। পুলিশ স্যালুট দিচ্ছে, গাড়ি নিয়ে মন্ত্রীরা ঘুরছে, পদাধিকারীদের পিছনে ১০০ মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেটা কিন্তু তৃণমূল নয়।”
দ্বিতীয় – দলের আভ্যন্তরিন অবস্থার বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি নাম না করে ভাঙড়ে আরাবুল ভার্সেস সওকাত মোল্লার গোষ্ঠী কোন্দল প্রসঙ্গে বলেন, ”আমি বলব না যে তৃণমূল কংগ্রেস যারা করছে তারা গঙ্গাজলে স্নান করে এসেছে। মাথা গরম মানুষ আছে, তাদেরও বোঝাতে হবে। আবার নিশ্চিতভাবে অসৎ মানুষ আছে তাদের থেকেও সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের নেত্রী তো সেদিন সন্দেশখালিতে বললেন যে বাজে লোকেদের ডাকলে যাবেন না। সুতরাং এগুলো হচ্ছে ইঙ্গিত যে খারাপ মানুষকে ত্যাগ করুন, সত্যিকারের ভাল মানুষের পাশে থাকুন।”
তৃতীয় – আবার তিনি কিছুটা সম্প্রদায়িক উস্কানি মূলক কথা বলে দলের সমালোচনার মুখে পারেন। বুধবার ফিরহাদ হাকিম আরও বলেছেন, ‘’আমি হিন্দু সাম্প্রদায়িকতাকে ঘৃণা করি, মুসলিম সাম্প্রদায়িকতাকে ঘৃণা করি। আমার মৃত্যুর পর ৬ ফুট মাটির তলায় দেহ মিশে যাবে। ভারতের মাটিতে মিশবে। আমি কি ভারতীয় নই?’’ যখন বাংলাদেশ এভাবে হিন্দু নিধন হচ্ছে, তখন ফিরহাদের এই ‘হিন্দু সম্প্রদায়কতা’ প্রসঙ্গটি সকলে ভালো চোখে দেখছেন না।