বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি বাংলার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক মানচিত্রে অনেকটা জায়গা করে নিয়েছিল। সৌজন্যে তৃণমূলের নেতা শেখ শাহজাহান। তারপরে অবশ্য গঙ্গা দিয়ে অনেক জল প্রবাহিত হয়েছে।
সেই দ্বীপ ভূমিতে আজ যাচ্ছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে সন্দেশখালি। জেটিঘাটে বাড়তি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়ে তিনি কী বার্তা দেন, আপাতত সেদিকে নজর রাজনৈতিক মহলের। সকলেই তাকিয়ে আজ সন্দেশখালির মানুষের কাছে তিনি কোন বার্তা দেন তা শোনার জন্য।
আগেই তিনি নবান্নে বলেছিলেন, “আমি ৩০ ডিসেম্বর সন্দেশখালি যাব। সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেব। আমি মঞ্চ থেকে ১০০ জনের হাতে পরিষেবা পৌঁছে দেব। তবে আলাদা আলাদা ক্যাম্প থেকে অন্তত ২০ হাজার মানুষের হাতে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে সেদিন।” বলে রাখা ভালো, লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্দেশখালির ‘ত্রাস’ শেখ শাহজাহানের নাম সামনে আসে। জোর করে জমি দখল, মহিলাদের নির্যাতন-সহ তৎকালীন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জোর চাপানউতোর তৈরি হয়। সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রভাব ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হবে বলেই ভেবেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু বিরোধীদের মুখে ছাই দিয়ে সন্দেশখালি থেকে গেছে তৃণমূলের।