বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদি ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই বাঙালিরা এতে খুবই খুশি। সেই খুশির প্রকাশ ঘটলো লোকসভায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্যে।

 

শনিবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে নিজের বক্তব্য পেশের সুযোগ পান তমলুকের বিজেপি সাংসদ। ভাষণের শুরুতেই ইংরেজিতে তিনি বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলব। কারণ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদী) এবং মন্ত্রকের উদ্যোগে আমাদের ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার তকমা দেওয়া হয়েছে।’ আর তারপরই বাংলায় কথা বলতে শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে সাংসদরা বলতে থাকেন,’হিন্দিতে বলুন।’

অভিজিৎ কিন্তু কোনো দিকে খেয়াল না রেখে বাংলায় বলে যান। সেই ভাষণের মধ্যেই লোকসভায় আসেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী আসার পর কেউ একজন বলেন যে ‘হিন্দিতে বলুন।’ তাতে অবশ্য পাত্তা না দিয়ে মোদীর সামনেই বাংলায় ভাষণ চালিয়ে যেতে থাকেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ। তবে সংসদে যে অভিজিৎ প্রথম বাংলায় ভাষণ দিলেন, তা নয়। সাম্প্রতিক অতীতের মধ্যে (২০১৬ সাল) লোকসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দেব। সেইসময় একাংশের কটাক্ষের মুখেও পড়েছিলেন ঘাটালের সাংসদ।অনেকে আবার দেবের পাশেও দাঁড়িয়েছিলেন। একই সুরে অপর এক নেটিজেন বলেছিলেন, ‘যদি উত্তর ভারতের সাংসদ নিজের মাতৃভাষা হিন্দিতে কথা বলতে পারেন, তাহলে অন্যরা নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বললে সমস্যাটা কোথায়? কেন তাঁদের কটাক্ষ করা যায়? এমনকী দক্ষিণ ভারতের সাংসদরা নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলেন। আমি জানি না যে কেন বাংলায় কথা বললে আমাদের বাঙালিদের এত সমস্যা হচ্ছে?’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *