বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আরজি কর ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়। জামিন পেয়ে গেলেন মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এবং তৎকালীন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও জামিন দিয়েছে আদালত। ঘটনার ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও কোনও চার্জশিট জমা দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এরপরেই আদালত অন্যতম হাইভোল্টেজ মামলায় অন্যতম দুই অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করে।
শর্ত সাপেক্ষে এই জামিন মঞ্জুর করেছে শিয়ালদহ আদালত। তবে জামিন মিললেও এখনই জেল মুক্তি হচ্ছে না সন্দীপ ঘোষের । তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্ত চলছে। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। ফলে এখনও আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ছাড়া পাচ্ছেন না।
তবে তৎকালীন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল আজ শুক্রবার কিংবা শনিবারই জেল থেকে মুক্তি পাবেন। আর এই নির্দেশ সামনে আসার পরেই ফের একবার প্রশ্নের মুখে সিবিআই। প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে।
কেন এমন হল? তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত সিবিআই’য়ের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে আদালতে তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতে জানান, আজ আমরা কোনও চার্জশিট জমা দিতে পারিনি। তবে তদন্ত চলছে। আইন অনুযায়ী, কোনও মামলায় ৯০ দিন পরেও যদি চার্জশিট না জমা পড়ে তাহলে সংশ্লিষ্ট কেসে অভিযুক্তদের জামিন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে এক্ষেত্রেও আলাদা কিছু ঘটল না। সূত্রের খবর চার্জশিট জমা দিতে গেলে রাজ্য সরকারের অনুমতি লাগে সিবিআই এর কাছে অনুমতি ছিলোনা।
বলে রাখা প্রয়োজন, আর জি করে চিকিৎসক-পড়ুয়ার খুন এবং ধর্ষণের মামলায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ সন্দীপ ঘোষ এবং তৎকালীন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে এনেছিল সিবিআই। আর সেই অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকি টালা থানার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়।
কিন্তু কাজের জায়গায় তা প্রমাণে সম্পূর্ণ সিবিআই ব্যর্থ বলে দাবি জুনিয়র চিকিৎসকদের। এই বিষয়ে ফের একবার পথে নামার হুঁশিয়ারি। অভিজিত মণ্ডলের আইনজীবী মহম্মদ সাজিদ জানিয়েছেন, ”আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে এখনও কিছু পাওয়া যায়নি। চার্জশিট দেয়নি। ৯০ দিন হয়ে গিয়েছে। এখনও চলছে তদন্ত। তার অর্থ, আমার বিরুদ্ধে কিছু নেই’।
কার্যত একই দাবি করেছেন সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীও। তিনি জানিয়েছেন, ৯০ দিন ধরে তদন্ত চলছে। কোনও প্রমাণ যে নেই তা স্পষ্ট।