বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল এমন এক দেশ, যারা যুদ্ধ ছাড়া থাকতে পারে না। হামাস, লিবিয়া, ইরানের পরে এবার তাদের আক্রমনের কেন্দ্রেরবিন্দু সিরিয়া।

 

 

রবিবার থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৪৫০টির বেশি হামলা করেছে ইজরায়েলের বিমানবাহিনী। বিবৃতি দিয়ে আইডিএফ জানিয়েছে, সিরিয়ার দামাস্কাস, হোমস, টারতুস, লাতাকিয়া ও পালমিরায়ের বিমানঘাঁটি, জেট-বিধ্বংসী ব্যাটারি, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক এবং অস্ত্র উৎপাদনের কেন্দ্রগুলোতে ৩৫০টি হামলা চালানো হয়েছে। নিশানা করা হয়েছিল নৌঘাঁটিগুলোতেও। সব মিলিয়ে ১৫টি যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ কেন সিরিয়ায় এমন বিধ্বংসী হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েল? ইসরাইল জানাচ্ছে যে তাদের দেশের উপর ইরানের হামলার প্রধান সহযোগী শক্তি ছিল সিরিয়া।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে তারা জানিয়েছে, সিরিয়ার সামরিক পরিকাঠামোগুলোকে একেবারে গুঁড়িয়ে দেওয়াই ইজরায়েলের উদ্দেশ্য। কারণ সেখান থেকে কার্যকলাপ চালাচ্ছে ইরানের সেনা। সিরিয়ার অস্ত্র কারখানায় তৈরি হাতিয়ারগুলোকে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলো। যদিও সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে তেহরান জানিয়ে দিয়েছে, সিরিয়ায় এখন কোনও ইরানি সেনা মোতায়েন নেই। সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় ইজরায়েল। কারণ এখন সিরিয়ায় ক্ষমতার রাশ রয়েছে তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর হাতে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এই আল-শাম আল কায়দার শাখা সংগঠন হিসেবেই পরিচিত। অর্থাৎ, গৃহযুদ্ধে গণতন্ত্র ফেরানোর যে লড়াই ছিল তা কার্যত হাইজ্যাক করে নেয় জেহাদিরা। এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখেছে তেল আভিভ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *