বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে, বাংলাদেশ ভারতের জন্য নতুন শত্রু হিসেবে উঠে আসছে। ভারত প্রতিটি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সম্প্রতি নয়াদিল্লি প্ল্যান ৩৬৫ ঘোষণা করেছে।
নতুন সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অভ্যুত্থানের পর অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে সেদেশ। তার উপরে মৌলবাদীরা মাথাব্যথা আরও বাড়াচ্ছে। তারা ক্রমাগত হিন্দুদের নিপীড়ন করছে এবং ভারত বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। মৌলবাদীদের প্রভাব এতটাই বেড়েছে যে ইউনুস সরকারকে পঙ্গু মনে হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে, বাংলাদেশ ভারতের জন্য নতুন শত্রু হিসেবে উঠে আসছে। ভারত প্রতিটি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সম্প্রতি নয়াদিল্লি প্ল্যান ৩৬৫ ঘোষণা করেছে, যার ফলে বাংলাদেশ এক বছরের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য।
অভ্যুত্থানের আগে বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প দারুণ উচ্চতা ছুঁয়েছিল। বাংলাদেশে অনেক বিদেশি কোম্পানির টেক্সটাইল অর্ডার তৈরি হচ্ছিল। চিনের পর বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের বৃহত্তম টেক্সটাইল রপ্তানিকারক দেশ, কিন্তু অভ্যুত্থানের পর সবকিছুই এলোমেলো হয়ে যায়। এখন ভারতের চোখ বাংলাদেশের এই দুর্বল যোগসূত্রের দিকে।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিদেশ সফরের সময় বাংলাদেশের রপ্তানি লক্ষ্যবস্তু করা হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই মাস্টারস্ট্রোক বাংলাদেশের জন্য ভূমিকম্পের চেয়ে কম হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোতে বাংলাদেশের টেক্সটাইল রপ্তানি বন্ধ করতে ভারত দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। ইউরোপ ও আমেরিকার মতো বড় বাজারে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে দুর্বল করার চেষ্টাও হতে পারে।
যখন বাংলাদেশের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তখন এর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত হ্রাস পাবে, এর গুরুতর অর্থনৈতিক সংকট আরও গভীর হবে এবং এটি আমদানি বিল পরিশোধ করতে পারবে না। ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে, বাংলাদেশ যদি এ পথে এগোতে থাকে তাহলে এক বছরের মধ্যেই অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়বে।