বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: যখন মুখ্যমন্ত্রী দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের কাজের আগ্রগতি দেখছেন তখন বোমা ফাটালেন বিরোধী দোলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু স্পষ্ট বলেন, একটা সেকুলার দেশে কোনো সরকার মন্দির বা মসজিদ গড়তে পারে না।
সেটা সরকারের কাজ নয়। শুভেন্দুর কথায়, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে হিন্দুদের টাকায় অযোধ্যায় রাম মন্দির হয়েছে। তাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিংসার রিপু সক্রিয় হয়েছে। উনি ভাবছেন সব ক্রেডিট নরেন্দ্র মোদী নিয়ে নেবেন। তাই মন্দিরের আদলে কিছু তৈরি করতে হবে। কিন্তু নকল করে আসল হওয়া যায় না। মমতাকে বিঁধে শুভেন্দু বলেন, হিন্দু সংগঠনগুলির সঙ্গে ওঁর কোনও সম্পর্ক নেই। উনি সনাতনী সংস্কৃতি মানেন না। বিধানসভার সামনে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সরকারি নথি দেখিয়ে বিরাট চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মমতাকে।
শুভেন্দুর দাবি, অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি দেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি টাকায় ভাস্কর্য তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকার বলতে উনি একজনই। হিডকো কাজের জন্য যে বরাত দিয়েছে সেই ওয়ার্ক অর্ডারেই লেখা আছে, দিঘায় ‘জগন্নাথ ধাম সংস্কৃতি কেন্দ্র’ হচ্ছে। কোনও সরকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী ভণ্ডামি, মিথ্যাচার করছেন। সবটা মিলিয়ে মমতা ও শুভেন্দুর বিতর্ক বেশ উপভোগ্য হয়ে উঠেছে।