বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: মডেল স্টেশন তৈরি হচ্ছে এন জে পি। ২০২৭-২৮ এর মধ্যে এনজিপি স্টেশন হয়ে যাবে ভারতের মধ্যে অত্যা আধুনিক স্টেশন। কিন্তু হলে কি হবে, যাদের জন্য স্টেশন সেই যাত্রীদের বিলম্ব না বাড়ছে দিনের পর দিন।
ট্রেন থেকে কোন বয়স্ক বা অসুস্থ যাত্রীকে প্ল্যাটফর্মে নামিয়ে দিয়ে কিংবা একেবারে রিকশাম অথবা অটো স্ট্যান্ডে পৌঁছে দিয়ে কুলেরা চাচ্ছে 800 থেকে বারোশো টাকা। হ্যাঁ চোখ কপালে ওঠার মতোই ঘটনা, শুধু নয় অনেক যাত্রী আছেন বছরে এক থেকে দুইবার এনজিপিতে আসেন , তারা ট্রেন থেকে নেমে কোন দিক দিয়ে বের হবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। আপনার জল পিপাসা পেলে কোথায় জল আছে অথবা কোথায় ওয়েটিং রুম আছে আপনি খুঁজেই পাবেন না। এনজিপি স্টেশনে নেমে আপনার সাথে যদি প্ল্যাটফর্ম টিকিট লাগে তাহলে তো হয়েই গেল, এমন অবস্থা হবে যে সাথীকেও বাধ্য হয়ে ট্রেনের টিকিট কাটতে হবে। হত দেড় বছর ধরে এই অবস্থা চলছে এনজিপির। রেল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করলে বলা হচ্ছে, সবকিছু তো হচ্ছে যাত্রীদের সুবিধার জন্য, হওয়ার আগে তো কষ্ট ভোগ করতেই হবে। অভিযোগ জিনিসপত্র এবং বয়স্কদের নিয়ে যদি রাতে এনজিপি স্টেশনে পৌঁছানো যায়, তবে ট্রেনে ওঠা যে কি ভয়ানক একমাত্র তারাই বুঝতে পারেন। যাত্রীরা আরো জানিয়েছেন কোন সময় এস্কেলেটর খারাপ থাকে, সিঁড়ি দিয়ে মাল নিয়ে এক নম্বর বা দুই নম্বর প্লাটফর্মে যেতে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কবে এই ব্যাপারটা সমাধান হবে কেউ জানেন না। বলা হচ্ছে এনজিপি স্টেশন ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ দশটি স্টেশনের মধ্যে অন্যতম হতে চলেছে, কিন্তু সেটা হতে গিয়ে যে কি প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, সেটা একমাত্র যাত্রীরা বুঝতে পেরেছেন। এখন উপায় নেই জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ হয়ে গেলে তো কষ্ট করতে হবে না কাউকে, এও জানিয়েছে তারা।