বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:  আবাস যোজনার টাকা নিয়ম মেনে অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। কিন্তু সেই টাকা দিয়ে বাড়ি করার উদ্যোগ নেই। পুরসভার তরফে একাধিকবার সেইসব উপভোক্তাদের নোটিশ পাঠালেও কোনও হেলদোল নেই।

 

অবশেষে হাউস ফর অল এর প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েও বাড়ি শুরু না করায় সাত দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিল বালুরঘাট পুরসভা। না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বালুরঘাট পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে উপভোক্তাদের চূড়ান্ত নোটিশ ধরিয়ে এসেছেন খোদ পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র।

আবাস যোজনার ঘর নিয়ে যখন চারিদিকে তোলপাড়। অনেকেই আবাস যোজনায় আবেদন করেও ঘর পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন। ঠিক সেখানেই অন্য ছবি ধরা পড়ল বালুরঘাটে। সরকারি ঘর পেয়েও নির্মাণের বালাই নেই একাধিক উপভোক্তার। এমনকি তাদের অ্যাকাউন্টে রীতিমতো প্রথম ধাপের টাকা ঢুকে গিয়েছে বহুদিন আগে। তারপরেও বাড়ি তৈরি করছেন না তারা। পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে মূলত আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের বসবাস। তাই এই ওয়ার্ডে সব থেকে বেশি আবাস যোজনার ঘর বরাদ্দ হয়েছে। যার সংখ্যা শতাধিক। এর মধ্যেই ওই এলাকার তিনজন বাসিন্দা কিস্তির টাকা পাওয়ার পরেও ঘর শুরু করেননি বলে অভিযোগ। বিষয়টি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে এদিন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রলয় সরকার, ইঞ্জিনিয়ার মনোজিৎ অধিকারী সহ একাধিক আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় পৌঁছান পুরসভার চেয়ারম্যান। যেখানে একাধিক বাড়ির মালিকরা সরকারি ঘরের টাকা পেয়েও বাড়ি নির্মাণের কাজে শুরু না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। এর আগেও একাধিক নোটিশ পাঠিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। অবশেষে এদিন তাদের সাত দিনের মধ্যে ঘরের কাজ শুরু করতে হবে, না হলে সরকারি টাকা ফেরত দেওয়ার চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এদিন যারা ইতিমধ্যেই ঘরের কাজ শুরু করেছেন সেই কাজ কতদূর এগিয়েছে তা খতিয়ে দেখেন জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকরা।

আবাস যোজনার উপভোক্তা সোমা চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার বাবার নামে ঘর পেয়েছিলাম। বাবা মারা যাওয়ার পরে বাড়ি বানাবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছি। বাড়িতে থাকার মতো কেউ নেই। তাই ঘর নেব না। ঘরের কাজ শুরু না করায় এর আগেও নোটিশ পেয়েছিলাম। কাউন্সিলারের সঙ্গে কথা বলে পুরসভায় গিয়ে দাদা দ্রুত টাকা ফেরত দিয়ে দেবে।’

পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র জানান, ‘আমাদের কাছে দু কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ এসেছে। প্রায় সমস্ত উপভোক্তাদের টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েও অনেকে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেননি। তাদের নোটিশ ধরানো হয়েছিল। পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের নির্দেশে তাদের এদিন চূড়ান্ত নোটিশ ধরানো হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে তাদের কাজ শুরু করতে অথবা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *