বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে চলেছে ক্রমাগত হিন্দু অত্যাচার। প্রচার হচ্ছে ভারত বিরোধিতা। শ্লোগান উঠেছে -‘ হিন্দুরা বাংলাদেশ ছাড়ো।’ ফলে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বাংলাদেশের।

 

কিন্তু তারা দেশের ইতিহাস ভুলে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, ইন্দিরা গান্ধীর সমর্থন, ভারতীয় সেনার বলিদান। এসবের বিনিময়ে স্বাধীনতা পায় বাংলাদেশ। কিন্তু, এখন একেবারে যেন অন্য ছবি। যেভাবে লাগাতার ভারত বিরোধী মন্তব্য ধেয়ে আসছে, যেভাবে ভারতের উপর আক্রমণ নেমে আসছে তা দেখে অনেকেই বলছেন অকৃতজ্ঞভাবে ইতিহাস বদল দেওয়ার কাজ চলছে। এখন বাংলাদেশে কমবেশি ২ কোটি হিন্দুর বাস। তাদের একটা বড় অংশের আত্মীয় পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা বা অসমে থাকেন। যে দেশের স্বাধীনতায় সংখ্যালঘুদের বড় অবদান, এখন তাদেরকেই উত্‍খাতের ছক? এই পরিস্থিতিতেই আলোচনা শুরু হয়েছে কূটনৈতিক মহলে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সংখ্যালঘুদের বড় অবদান, এখন তাদেরকেই উত্‍খাতের ছক? অনেকেই আবার তথ্য দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন, ভারত না থাকলে একটা দিনও চলবে না বাংলাদেশের। শুভেন্দু অধিকারী তো বলেই দিয়েছেন ফরাক্কা দিয়ে বিদ্যুত্‍ না গেলে ওপার বাংলার বড় অংশে অন্ধকার নেমে আসবে। তথ্য বলছে, বাংলাদেশের মোট আমদানির ১৮ শতাংশই আসে ভারত থেকে। বস্ত্রশিল্পের জন্য তুলোর সিংহভাগ যায় ভারত থেকে। ভারত থেকে রফতানি হয় চাল, গম, পেঁয়াজ, মশলা। পেট্রোপণ্য থেকে যন্ত্রাংশ, শিল্পের কাঁচামাল যায় ভারত থেকেই। তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশের জামাত সমর্থকদের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন। ভারত যদি, চাল-ডাল বন্ধ করে দেয়, বাংলাদেশের মানুষ খাবে কী? ভারত জল বন্ধ করে দিলে কি হবে, বিদ্যুতের লাইন কেটে দিলে কী হবে! বাংলাদেশে জামাকাপড় ছাড়া, আর কিছুরই তো কারখানা নেই। সবই তো আমদানি করতে হয়। চিন, পাকিস্তান দেবে তো? এই প্রেক্ষাপটে কড়া অবস্থান নেওয়ার কথা বলছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ওপার বাংলায় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এপারের সংখ্যালঘুরা। গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার উপর চাপ বাড়াচ্ছে নয়াদিল্লিও। এখন দেখার ইউনুস সরকারের এবার মাথা খোলে কিনা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *