বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ছোট বেলায় আমরা রচনা লিখেছি ‘দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান’ আর এখন করছি দৈনন্দিন জীবনে স্মার্ট ফোন।

 

ঘুম ভেঙে দু’চোখ মেলে প্রথমেই মানুষ এখন যেটা খোঁজে, সেটা স্মার্টফোন। রাতে যতক্ষণ না ঘুমে জড়িয়ে যাচ্ছে দু’চোখ ততক্ষণ যা নিয়ে মানুষ ব্যস্ত থাকে, সেটা স্মার্টফোন। এই অভ্যাসই আসলে কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে মানুষের জীবনে। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ক্রমাগত স্মার্টফোনের ব্যবহার বিশেষত বিছানায় শুয়ে মোবাইল দেখার অভ্যাস রীতিমতো বিপজ্জনক।

এখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোন স্ক্রল করে করে সময় কেটে যায়। কিন্তু এর বিপদ সম্পর্কে খুব কম মানুষই সচেতন। বিশেষজ্ঞরা সাধারণত পরামর্শ দেন যাতে কেউ ঘুমোনোর আগে বিছানায় শুয়ে ফোনের দিকে না তাকান। কারণ এতে অনেক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

শুয়ে থাকা অবস্থায় আমরা যখন ফোন ব্যবহার করি তখন আমাদের হাত অনেকক্ষণ এক জায়গায় আটকে থাকে। এই ধরনের ভঙ্গিতে ঘন্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করার জন্য মানুষের শরীর প্রস্তুত নয়। এতে বিশেষ করে ঘাড়ের উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও, ফোনের স্ক্রিনের দিকে দীর্ঘ সময় তাকিয়ে থাকার জন্য মানুষের ঘাড় সামনের দিকে খানিকটা বেঁকে থাকে। এর ফলে ‘সার্ভিকাল স্ট্রেন’ হতে পারে, যা সাধারণত ‘টেক্সট নেক’ নামে পরিচিত।

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, একটি বালিশ ব্যবহার করা যেতে পারে যেটি মাথা, ঘাড় এবং মেরুদণ্ডে একটা সামঞ্জস্য আনবে। যদি একপাশ ফিরে শুয়ে থাকেন কেউ তবে মেরুদণ্ডের কোণ ঠিক রাখতে হবে, দুই পায়ের মাঝে একটি বালিশ রাখা যেতে পারে।

এছাড়াও দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহার করলে উজ্জ্বল স্ক্রিন এবং আশেপাশের পরিবেশের মধ্যে একটা বৈসাদৃশ্য তৈরি হয়। এর মধ্যে একটা সামঞ্জস্য আনার জন্য চোখকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। ফলে তার উপর চাপ বাড়ে।

বিছানায় দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহারের কারণে চোখের ক্লান্তি একটি সাধারণ সমস্যা। অন্ধকারে দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহার করলে চোখে শুষ্কতা, চুলকানি, জ্বালাপোড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।

রাতে দীর্ঘ সময় ধরে ফোন ব্যবহারের অভ্যাস দূর করতে, ঘুমের উন্নতি ঘটায় এমন কাজগুলি বেছে নিতে হবে। প্রয়োজনে ধ্যান অনুশীলন করা যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *