বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: একজন সরকারি কর্মচারী, বিশেষ করে পুলিশ আধিকারিক যখন নেশায় উন্মত্ত হয়ে রিভালবার নিয়ে কাউকে তাড়া করেন তখন তো তা খবরের শিরোনামে আসবেই। আর ঠিক সেই কাজটাই করলেন মানিকচক থানার এএসআই প্রশান্ত মিশ্র।
খবরে প্রকাশ, দিন কয়েক আগে মানিকচক থানা এলাকায় একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা হয়। এর পর মোটরসাইকেলটিকে বাজেয়াপ্ত করে মামলা রুজু করে পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্ত করছিলেন এএসআই প্রশান্ত মিশ্র। ঘটনাটি নিয়ে কথা বলার জন্য প্রশান্তবাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন স্থানীয় মিলকি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলি পঞ্চায়েত সদস্য দুলাল শেখ ও মইনুদ্দিন মোমিন। ফোনে আলোচনার জন্য ২ পঞ্চায়েত সদস্যকে থানার কোয়ার্টারে ডেকে পাঠান প্রশান্তবাবু। আর তার পরেই ঘটে এক নাটকীয় অবস্থা। ভয়ে ও ত্রাসে ওই দুই তৃণমূল নেতা কোনোভাবে দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ নিয়ে বাঁচেন।
অভিযোগ, ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্য তার ডাকে তার কোয়াটারে উপস্থিত হওয়ার পরেই নিজ মূর্তি ধারণ করেন প্রশান্ত মিশ্র। ২ পঞ্চায়েত সদস্য সেখানে গিয়ে দেখেন প্রশান্তবাবু মত্ত অবস্থায় রয়েছেন। তার পরেও তাঁর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন মইনুদ্দিন ও দুলাল। কিন্তু কিছুক্ষণ আলোচনার পরেই মেজাজ হারান ওই এএসআই। অভিযোগ, এর পর নিজের সার্ভিস রিভলভার বার করে গুলি করে মেরে ফালার ভয় দেখাতে থাকেন ২ জনপ্রতিনিধিকে। দুলাল বলেন, ‘এক সময় তো ভেবেছিলাম মরেই যাব। কোনও পুলিশ অফিসার যে এরকম করতে পারে আমার জানাই ছিল না।’ এর পরে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।