বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বিজেপির সামনে একটা বড়ো ইস্যু নিয়ে আসলো বর্তমান বাংলাদেশ। ওখানে হিন্দুদের উপর নির্যাতনকে কাজে লাগিয়ে শুভেন্দু নেমে পরেছেন ময়দানে। অন্যদিকে তৃণমূলের ইস্যু – ওয়াকফ বিল।

 

দু’পক্ষই সম্মুখ সমরে কিন্তু বামেরা নেই ধারে কাছে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ফলাফলই স্পষ্ট করে দিয়েছিল, বাংলার রাজনীতিতে ‘ধর্মীয় মেরুকরণ’ হয়েছে। তার পর থেকে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট এবং ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটেও সেই ধারা অব্যাহত থেকেছে। গত তিন দিনে কলকাতা শহরে বিজেপি এবং তৃণমূলের কর্মসূচি দেখে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, বঙ্গ রাজনীতি এই মেরুকরণের চক্রব্যূহে আটক। বাংলাদেশে সন্ন্যাসী গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে বিজেপি রাস্তায় নেমেছে। বিজেপির পাশাপাশি ‘হিন্দু সংহতি মঞ্চ’ও গত বৃহস্পতিবার কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছিল। কিন্তু তৃণমূল ফাঁকা মাঠে খেলতে দেবে না বিজেপিকে। ফলে তাদের হাতিয়ার ওয়াকফ বিল।

শনিবার কেন্দ্রের ওয়াকফ সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে রানি রাসমণি রোডে ‘সংখ্যালঘু সমাবেশ’ করল তৃণমূল। যা থেকে এটা স্পষ্ট যে মেরুকরণ বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ। যদি না রাজনৈতিক পরিসরে ‘নাটকীয়’ কোনও পটপরিবর্তন ঘটে যায়। গত সোমবার তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেই ঠিক হয়েছিল যে, শনিবার সংখ্যালঘু সেলের ডাকে সভা হবে। সেই সভায় দেশের সংবিধান এবং ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামো রক্ষার জন্য লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমেরা। একই সঙ্গে তৃণমূলের সভায় জুড়ে গিয়েছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও। ওপার বাংলায় যা চলছে তাকে ইতিমধ্যেই ‘দুর্ভাগ্যজনক এবং নিন্দনীয়’ বলেছেন তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১৩ বছরে বাংলার বিভিন্ন ভোটের ফলাফল সাদা চোখে দেখলেই স্পষ্ট, রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটের প্রায় সবটাই রয়েছে তৃণমূলের দিকে। আবার ২০১৯ থেকে বামেদের ভোট বিজেপির বাক্সে যে ভাবে ঢেলে গিয়ে পড়েছিল, তা থেকে গিয়েছে। বামেদের দিকে থাকা সেই জনসমর্থনের বেশির ভাগটাই ছিল হিন্দু ভোট। যা চলে গিয়েছে পদ্মের দিকে। পর পর ভোটে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বঙ্গ রাজনীতি দ্বিমেরু অক্ষেই আবর্তিত হচ্ছে। মাঝখান থেকে কিছুটা হলেও সেকুলার বামেরা হারিয়েছে তাদের অনেক মাটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *