বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের প্রায় এক ডজন মানুষ গ্রেফতার হয়েছিল, তার অধিকাংশই শাসকদলের। গত কয়েকদিন ধরে একে একে অনেকেই জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
এবার মঙ্গলবার জামিনে মুক্তি পেলেন তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকালে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চ ১০ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করে। বেশ কয়েকটি শর্তে জামিন দেওয়া হয়েছে শান্তনুকে। নিম্ন আদালতের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না তিনি। জমা রাখতে হবে পাসপোর্ট। তবে এখনই হুগলির নেতা শান্তনুর জেলমুক্তি হচ্ছে না বলে খবর। কারণ, আগেই সিবিআই আদালত নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেছে। হুগলির বলাগড়ে তৃণমূলের যুব নেতা ছিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরেক যুব নেতা কুন্তল ঘোষের ঘনিষ্ঠ। ২০২৩ সালে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় শান্তনুকে। কিন্তু এখনই শান্তনু জেলের বাইরে আসতে পারছে না।
সিবিআই সূত্রের খবর, মিডলম্যান তাপস মণ্ডলকে জেরা করে কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়দের নাম উঠে আসে তদন্তকারীদের হাতে। হুগলির এই দুই প্রাক্তন তৃণমূল যুব নেতা নিয়োগ দুর্নীতি চক্রের অন্যতম মাথা বলে উল্লেখ করেছিলেন তাপস। তাদের গ্রেপ্তারির পর দলের তরফে কুন্তল, শান্তনুকে সাসপেন্ড করা হয়। ইডি আধিকারিকরা প্রথমে বলাগড়ে শান্তনুর বিলাসবহুল বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের একটি তালিকা হাতে পান। সেই তালিকায় প্রায় সাড়ে ৩০০ জন প্রার্থীর নাম ছিল বলে জানা যায়। শান্তনুদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার সময় ইডি জানিয়েছিল, ২৬ জন প্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ নিয়েছিলেন শান্তনু। পরে বিভিন্ন নামে অ্যাকাউন্ট খুলে সেই কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।