বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আমাদের দেশের রান্না ঘরে কুমড়ো যতটা প্ৰচলিত, কুমড়ো ফুল কিন্তু ততটা প্ৰচলিত নয়। কুমড়ো ফুলকে আমরা ব্রাত্য করেই রেখেছি।

 

অথচ পুষ্টিতত্ত্ববিদেরা বলছেন, কুমড়ো ফুল বহু গানের আধার। কুমড়ো ফুলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালোরি, কার্ব, প্রোটিন, ফাইবার, কপার, ফোলেট, ভিটামিন এ, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি, আয়রন সহ একাধিক জরুরি উপাদান। আর এই সকল উপাদানগুলিই একত্রিত হয়ে কুমড়ো ফুলকে এক অত্যন্ত উপকারী খাবারে পরিণত করে।

কুমড়ো ফুলে আছে –

১) অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খনি​ –

কুমড়ো ফুলে রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন, ক্যারোটিন, ফ্ল্যাভানয়েডস, ফেনলস-এর মতো উপকারী সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এই সকল উপাদান কিন্তু শরীরকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এমনকী প্রদাহ কমানোর কাজেও জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত কুমড়োর বীজ খেলে সেল ড্যামেজ আটকে দেওয়া যায়।

২) দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সক্ষম​ –

কুমড়ো ফুলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ। আর এই ভিটামিন কিন্তু চোখের খেয়াল রাখার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কুমড়ো ফুলে উপস্থিত এই ভিটামিন চোখের ম্যাকুলার ডিজেনারেশন আটকে দেয়। ফলে বয়সজনিত কারণে চোখের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কমে।

৩) রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে​ –

রক্ত তৈরির কাজেও এই ফুলের জুড়ি নেই। আসলে এই ফুলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা রক্তের বিভিন্ন উপাদান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন ধরুন, এই ফুলে উপস্থিত আয়রন ও কপার হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে।

৪) পেটের জন্য উপকারী​ –

বাঙালিদের মধ্যে অধিকাংশই নিয়মিত পেটের সমস্যায় ভুগতে থাকেন। গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজমের মতো জটিলতা তো অনেকেরই নিত্য়দিনের সঙ্গী। জানলে অবাক হয়ে যাবেন, আপনার হাতের কাছে উপস্থিত কুমড়ো ফুল খেলেই কিন্তু এই সমস্যাগুলির সমাধান করে ফেলা সম্ভব।

তাই নিয়মিত না হলেও মাঝে মাঝেই কুমড়ো ফুল খান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *