বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সুন্দরবনের মাতলা নদীর কথা সকলেই শুনেছি। এটাও শুনেছি যে বর্ষায় কি ভয়ঙ্কর রূপ নেয় এই মাতলা। সেই মাতলা নদীর পাড়ে নতুন ‘রিভারসাইড’ কৈখালি। এই সময়ের জন্য আদর্শ বেড়ানোর জায়গা।
কলকাতা থেকে ট্রেনে কয়েকঘণ্টার সফর মাত্র। কাজেই সপ্তাহান্তে বেড়ানোর সবচেয়ে ভাল জায়গা বললে ভুল হবে না। সপ্তান্তের ছুটিতে অনায়াসে বেড়িয়ে আসা যায় এই কৈখালি থেকে। নির্জন, নিরিবিলি অনুপম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই কৈখালি।
কৈখালির কাছেই আছে বিখ্যাত নিমপীঠ আশ্রম। নিমপীঠে সবচেয়ে সুন্দর জায়গা রামকৃষ্ণ মিশন। এখানে থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে। এখানে খাবারের ব্যবস্থাও রয়েছে। এখানে বলে রাখলেও কৈখালী যাওয়ার অটো ভাড়া করে দেন। এই নিমপীঠ রামকৃষ্ণ মিশনের কাছেই রয়েছে সারদা মায়ের আশ্রম। শান্ত পরিবেশ। সেখানে অনায়াসে বেড়ানো যায়। কৈখালীতে থাকার জায়গা বলতে একটাই কৈখালী পর্যটন নিবাস। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই আবাসটি। একেবারে মাতলা নদীর পাড়েই রয়েছে এই পর্যটন নিবাসটি।
কৈখালি ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ মামলায় নৌকা বিহার। সুন্দরবনের অন্যতম একটা নদী মাতলা নদী। এই মাতলা নদী দিয়ে অনায়াসেই চলে যাওয়া যায় সুন্দরবনে। এখানে নৌকাবিহারের বন্দোবস্ত রয়েছে। মাতলানদীতে নৌকা বিহারের সময় সূর্যাস্ত দেখা যায়। মৎস্য প্রিয় বাঙালির কিন্তু খুব পছন্দ হবে এই কৈখালীতে। এখানে প্রচুর রকমের মাছ খাওয়া যাবে। একেবারে পার্শে, ট্যাংরা, আমুদি মাছের ছড়াছড়ি। টন টন মাছ এই মাতলা নদী থেকে মাছ তোলা হয়। যাকে মাছের কাঁটা বলা হয়।
যাওয়া – সড়ক পথে অথবা ট্রেন পথে দুভাবেই আসা যায়। শিয়ালহ স্টেশন থেকে লক্ষ্মীকান্তপুর লোকালে চড়ে আসতে হবে জয়নগর। সেখান থেকে নিমপীঠ যাওয়ার অটো পাওয়া যায়। অটো ভাড়াও খুব বেশি নয়। প্রয়োজনে সারাদিন বেড়ানোর জন্য অটো ভাড়া করে নিতে পারেন। কাজেই একেবারে বাজেটের মধ্যে সুন্দর বেড়িয়ে আসা যায় এই নিমপীঠ থেকে। অনায়াসেই সেখান থেকে বেড়ানো যায়। এখানে মাতলা নদী ছাড়াও দেখার অনেক কিছু রয়েছে।