বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ভারত-কানাডা সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। কানাডার পক্ষ থেকে ওই হত্যার ব্যাপারে বার বার করে ভারতের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রেমন্ত্রী অমিত শাহকে এই খুনের জন্য দায়ী করা হয়েছিল। এবার আঙুল উঠলো সরাসরি প্রধান মন্ত্রীর দিকে। বুধবার কানাডার সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, নিজ্জরকে হত্যার ছক কষার কথা জানতেন মোদিও। ইতিমধ্যে এই খবরের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে দিল্লি। এই বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিক্রিয়া, ‘ভিত্তিহীন’ এবং ‘হাস্যকর’ দাবি করা হয়েছে কানাডার সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে কোনো প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও কেন খালিস্তানপন্থীরা বার বার করে ভারতের দিকে ইঙ্গিত করছেন?
কয়েকদিন আগেই কানাডার এক হিন্দু মন্দিরে খালিস্তানের পাতাকা নিয়ে একদল শিখের হামলা চালানোর ছবি সামনে এসেছে। ভারত দ্রুত তার তীব্র প্রতিবাদ করেছে। দুই দেশের এই সম্পর্ক এমন তলানিতে পৌঁছেছে যে দুই দেশি তাদের রাষ্ট্রদূতদের ফিরিয়ে নিয়েছে।
এই অবস্থায় হঠাৎ করেই আবার তারা সামনে নিয়ে আসলো ওই নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গ। বুধবার কানাডার এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, নিজ্জরকে হত্যার ছক কষেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর পর তা জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে। এর পরেই খলিস্তানি জঙ্গিদের হত্যার ষড়যন্ত্র কার্যকর হয়। এই বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্য, “সাধারণত সংবাদমাধ্যমের খবর নিয়ে আমরা মন্তব্য করি না। কিন্তু কানাডা সরকারের সূত্র উদ্ধৃত করে যখন একটি সংবাদমাধ্যম হাস্যকর মন্তব্য করে তখন তা অবহেলার সঙ্গেই খারিজ করা উচিত।” কিন্তু কেন বার বার করে এমন মিথ্যা অভিযোগ সামনে আনা হচ্ছে?
কূটনৈতিক মহল মনে করছে,
দীর্ঘদিন যাবৎ খলিস্তানি জঙ্গিদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে কানাডা। এই নিয়ে ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ বাদানুবাদ ছিলই। গত বছর হরদীপ সিং নিজ্জর-সহ বেশ কয়েক জন খলিস্তানি জঙ্গির হত্যার ঘটনায় তা নয়া মোড় নেয়। ট্রুডো সরকার সরাসরি দাবি করে, এই ঘটনার সঙ্গে ভারত যুক্ত। এর পরেই উভয় দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়। কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছায়। এর মধ্যেই দেখা গেছে, কানাডায় খালিস্তানিদের এক মিছিল থেকে আওয়াজ উঠেছিল, কানাডা খালিস্তানিদের। ‘কানাডা থেকে ইউরোপীয়রা দূর হাটো।’ প্রমাদ গোনা শুরু করেছে কানাডা সরকার। তাই বিশ্ব কূটনৈতিক মহলের ধারণা আফগানিস্তানের তালিবান বা পাকিস্তানের জামাত গোষ্ঠীর মতো কানাডার ক্ষমতা ধীরে ধীরে খালিইস্তানিদের হাতে চলে যাচ্ছে। আর তা বুঝতে পেরেও ট্রুডো সরকার অসহায়ভাবে তাদের কাছে আত্মসমর্পন করছে।