বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বাংলার মাথার মুকুট হয়ে আছে হিমালয় আর পা ধুয়ে দিচ্ছে সাগর। উত্তরবঙ্গ মানেই পাহাড় আর সবুজের খেলা।
মনভাল করার খনি রয়েছে এখানে। আর অফবিট লোকেশন সেতো পথ চলতে চলতেই বেরিয়ে আসে। এমনই একটি সুন্দর একেবারে অচেনা জায়গা মাংজিং। ডুয়ার্সের অংশ হলেও এটি কালিম্পং জেলার মধ্যে পড়ে। একেবারে পর্যটনের অনকোড়া জায়গা। সেকারণে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে কোনও নগরায়ণের ছাপ পড়েনি। স্থানীয় বাসিন্দারাই এখানকার সৌন্দর্য। ৩৬০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত মাংজিং। লুংজেং এবং ঝাণ্ডি থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। লাভা-লোলেগাঁও থেকেও মাংজিং আসা যায়। কাজেই এর অবস্থানটা খুব ভাল। পর্যটকদের পক্ষে সুগম একটা জায়গা। এখান থেকেও যথারীতি দর্শণ মেলে কাঞ্জনজঙ্ঘার। রাস্তা খুব ভালো। ছোট্ট কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে।
এখানে প্রকৃতি নিজেকে উজাড় করে সাজিয়েছে।
সারি সারি পাইন গাছের ফাঁকে উঁকি দেয় তিস্তার বিস্তীর্ণ নদীপথ। অসাধারণ লাগে এই দৃশ্য দেখতে। একেবারে পাহাড় আর জঙ্গলের মাঝেই রয়েছে একটি হোমস্টে। একটি মাত্র হোমস্টেই রয়েছে এখানে। সেকারণে এখানে থাকতে গেলে আগে থেকে বুক করে আসা ভাল। হোমস্টের ঘর থেকে বসেই দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। দেখা যায় দূরের জঙ্গলের সারি। দিনভর মেঘ-কুয়াশা খেলা দেখতে মন্দ লাগবে না। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি থেকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়। তখন আবার সারাদিনই প্রায় কাঞ্জনজঙ্ঘার দেখা মেলে। পাহাড়ের আবহাওয়া বড় খামখেয়ালি। কখনও মুখ ভার তো কখনও খিলখিলিয়ে হেঁসে ওঠে রোদ। ঝকঝকে আকাশে তখন নিজের এক রাশ সৌন্দর্য ছড়িয়ে দেখা দেয কাঞ্জনজঙ্ঘা। আর দূরের তিস্তা তখন আরও স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয়। আর চিন্তা না করে চলে আসুন এই অপূর্ব গ্রামে।