বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার আগে তৃণমূল দলের স্লোগান ছিল বদলা নয় বদল চাই। কিন্তু ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি শিবির বদলার ডাক দিলেন। তবে রাজনৈতিকভাবে এবং ইভিএমে। শনিবার কৃষ্ণনগরে বিজেপির বিজয় সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে ইভিএমে বদলার স্লোগান তুললেন শুভেন্দু অধিকারী।
কৃষ্ণনগরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য পেশের আগে ভাষণ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্যের শুরু থেকেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তৃণমূল সরকার এবং দলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। সন্দেশখালি থেকে মহুয়া মৈত্র ইস্যু তুলে ধরে ইভিএমে বদলার ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
২০১৯ সালে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে থেকে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। এবারও নদীয়ার এই আসনটিতে কঠিন লড়াই হবে। তা বিলঙ্খন জানে বিজেপি শিবির। তাই মহুয়া মৈত্র ইস্যুতে শুভেন্দু বলেন, ‘কৃষ্ণনগরের সাংসদ এখন নেই, প্রাক্তন হয়েছেন। লোকসভার পাসওয়ার্ড বিক্রি করেছিলেন। তার বদলা হবে তো, ইভিএমে বদলা নিতে হবে।’
এরপরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘সন্দেশখালির বদলা হবে তো? সন্দেশখালিতে মা বোনেদের ইজ্জত লুঠ হয়েছে, তার বদলা নিতে হবে ইভিএমে। আপনাদের ইভিএমে তৃণমূলের অত্যাচারের বদলা নিতে হবে।’ একইসঙ্গে নদীয়ার মাটিতে দাঁড়িয়ে মহাপ্রভু চৈতন্য দেবের আবেগকেও উস্কে দিলেন বিরোধী দলনেতা।
সন্দেশখালি ইস্যুতে বরাবরই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শুভেন্দু আধিকারী। দুই দিনে মোদীর মঞ্চ থেকে ভাষণে এই ইস্যুকে সুচারুভাবেই কাজে লাগালেন শুভেন্দু, সেইসঙ্গে মমতা বিরোধিতাকে আরও জোরদার করলেন।
মোদীর সভায় শুভেন্দু অধিকারীর মতোই উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । তিনিও মহুয়া মৈত্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন।
বালুরঘাটের সাংসদ নিজের বক্তব্যে বলোন, “এখানকার সাংসদ বলেছিলেন, মা কালী নাকি মদ খায়। এসব শুনে মুখ্যমন্ত্রী চুপ থাকেন। একজন সাংসদ এটা বলার পর কীভাবে কেউ চুপ থাকতে পারেন জানি না। একজন সাংসদ সামান্য কিছু জিনিসের লোভে সংসদে নিজের লগ-ইন আইডি অন্যকে দিয়ে দেন। তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর পরও মমতা তাঁকে জেলা সভাপতি করে রেখেছেন। ‘