বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বাঙালির পুজোর ‘হ্যাংওভার’ এখনও কাটেনি। তারই মাঝে এসে পড়েছে কোজাগরি লক্ষ্মীপুজো । ঘরোয়া এই উৎসবে গরম খিচুড়ির রীতি চিরদিনের। কিন্তু জেন জি, টু বা ওয়াই-এর যে বরাবরই রান্নাতে আপত্তি ! অবশ্য তাতে অসুবিধে নেই বালুরঘাটে ।
রকমারি খাবারের পাশাপাশি হোম ডেলিভারিতে মিলছে লক্ষ্মীপুজোর খিচুড়ি । রান্নার ঝামেলা এড়াতে হোম ডেলিভারিতে খিচুড়ির অর্ডার দিচ্ছেন বহু মানুষ। এমনকি অন্যবারের তুলনায় এবারে হোম ডেলিভারিতে খিচুড়ির বরাত বেশি পেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এবারই প্রথম নয়, বিগত কয়েকবছর থেকে পূজোয় ভোগের খিচুড়ি হোম ডেলিভারিতে পাওয়া যাচ্ছে।
পয়সা একটু বেশি খরচ হলেও বাজার থেকে রান্না কোনও কিছুরই ঝঞ্ঝাট নেই হোম ডেলিভারিতে। যার ফলে বর্তমানে এর চাহিদা বেড়েছে।
বর্তমানে বহু মানুষ হোম ডেলিভারির কাজ করায় বাড়তি উপার্জন করছেন বাড়ির মহিলারা।
বালুরঘাটের এক বধূ সংগীতা সেন বলেন, ‘লক্ষ্মীপূজার সময় এমনি খুব চাপ থাকে। পুজোর জোগাড় করা থেকে সব কিছুর জন্য হাতে সময় খুব কম থাকে। তার উপর কাজের বা রান্নার লোক পাওয়া খুব মুশকিল। তাই এখন হোম ডেলিভারিতেই পুজোর খিচুড়ির অর্ডার দেই। টাকা একটু বেশি লাগে তবে চিন্তা থাকে না।’
‘পেট পুজো হোম ডেলিভারি’র কর্ণধার শর্মিষ্ঠা সাহা বোস বলেন, ‘এবারে ৫০টি বাড়ি থেকে খিচুড়ির অর্ডার পেয়েছি। কয়েকবছর থেকেই হোম ডেলিভারিতে খিচুড়ির অর্ডার পাচ্ছি। দিন দিন হোম ডেলিভারির চাহিদা বাড়ছে। খিচুড়ির সঙ্গে সবজি, চাটনি ও অন্য খাবারের অর্ডার আসে।’ এই কথার রেশ ধরেই খাদিমপুরের ক্যাটারার ব্যবসায়ী চণ্ডী সাহা বলেন, ‘শুধু লক্ষ্মীপুজো নয়, যে কোনও পুজোয় খিচুড়ির অর্ডার নিয়ে থাকি। প্রত্যেক বছর খিচুড়ির অর্ডার বাড়ছে৷ এবারে শতাধিক লোকের খিচুড়ির অর্ডার এসেছে।