বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বাঙালির কাছে পুজো মানেই ব্যাগ গুছিয়ে দে ছুট। পরিবার নিয়ে একটু আলসেমিতে কাটিয়ে দেওয়া কয়েকটা দিন। তা সে পাহাড় হোক বা ডুয়ার্সের ঘন জঙ্গল। পর্যটনের সঙ্গে জড়িয়ে কয়েক হাজার মানুষও অপেক্ষায় থাকেন এই সময়টার।
কারণ বছরের দুটো পর্যটন মরশুমের মধ্যে পুজোর সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা বছরের প্রায় অর্ধেক আয় হয় এই সময়টায়। শুধু হোমস্টে, হোটেল মালিক নয়, গাড়িচালক, রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী, পাহাড়ি পথে থাকা ছোট ছোট দোকানদার- সংখ্যাটা সবমিলিয়ে লাখ পেরিয়ে যাবে। কিন্তু এবছর তাঁদের মুখটাই ব্যাজার। উত্তরবঙ্গের অন্যতম গর্ব গৌড় আর আদিনা নিয়ে পর্যটনের কথা ভাবাই হয় না তেমনভাবে।
তিস্তার ছোবলে কার্যত ছবি হতে বসেছে কালিম্পং ও সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই খুলছে, এই বন্ধ হচ্ছে। অস্বীকার করার উপায় নেই, রাস্তাটার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। পাহাড় কেটে নতুন করে রাস্তা তৈরি না হলে জাতীয় সড়কটি তিস্তায় বিলীন হয়ে যাবে অচিরেই। ওই রাস্তা নিয়ে রাজনীতির তর্জা অনেক দেখেছে উত্তরের মানুষ। সেসব নিয়ে আলোচনা করতে গেলে পাতার পর পাতা শেষ হয়ে যাবে। তাই, থাকুক সেসব।
প্রাক পুজো পর্যটন মরশুমে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশাপাশি ভয় ধরিয়েছে দার্জিলিং পাহাড়ে কিছু বিক্ষিপ্ত ধস। খুব সতর্কভাবেই আমি ‘বিক্ষিপ্ত’ শব্দটি ব্যবহার করছি। কারণ, দার্জিলিং পাহাড় হাতের তালুর মতো ছোট্ট একটি জায়গা নয়, বিস্তীর্ণ তার এলাকা। সেখানে দু-চারটি জায়গায় সামান্য ধস বিক্ষিপ্তই। খুব অবাক লাগে, যখন সেরকমই কোনও একটি ধসের ছবি বা ভিডিও শেয়ার করে কাউকে লিখতে দেখি, ‘বিপর্যস্ত দার্জিলিং পাহাড়, খুব সাবধান।’
গত ১০ বছরে পাহাড়ি পর্যটন অন্য মাত্রা পেয়েছে। বিশেষ করে হোমস্টে কনসেপ্ট চালুর পর প্রচারের আলোয় এসেছে একাধিক অফবিট লোকেশন। দার্জিলিং শহরের কোলাহল এড়িয়ে অনেকেই চাইছেন, একটু নিরিবিলিতে কয়েকটা রাত কাটাতে।