বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর তদন্তভার নিয়েছে CID। তারপরেই ইডি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। আদালতে তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পুলিশ মামলার তথ্য প্রমাণ নষ্ট করে দিতে পারে। প্রধান বিচারপতিকে এই নিয়ে চিঠি দিয়েছে ইডি।
শাহজাহান শেখকে কতদিন হেফাজতে রাখতে পারবে পুলিশ তাই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ ইডি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় জল্পনা বেড়েছে। কেষ্টর মতো কি শাহজাহান শেখকেও দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ইডি। কারণ প্রথমেও কেষ্টকে নিয়ে সেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। কেষ্টকে প্রথমে রাজ্যেই রাখা হয়েছিল। তারপরে ধাপে ধাপে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
সন্দেশখালির বাঘকে নিয়েও কি সেই পরিকল্পনা শুরু করেছে ইডি। শাহজাহান শেখের মতোই অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের বেতাজ বাদশা ছিলেন। তাঁকে ধরতে বিশাল পুলিশ বািহনী নিয়ে গিয়েছিল ইডি। গ্রেফতারের পর তাঁকে আসানসোলের জেলে রাখা হয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকে প্রভাবশালী তকমা দিয়ে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতে ইডি জানিয়েছিল অনুব্রত মণ্ডল রাজ্যে থাকলে তথ্য প্রমাণ নষ্ট হতে পারে। তারপরেই আদালতের অনুমতি নিয়ে দিল্লিতে তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কেষ্টকে।
সেখানে তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন আগে থেকেই ছিলেন। তারপরে কেষ্টর মেয়েকেও গ্রেফতার করে তিহাড় জেলেই রাখা হয়েছে। এবার কি শাহজাহানকেও সেই একই ভাবে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করছে ইডি। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে সন্দেশখালির বাঘ। তারপরে তথ্য প্রমাণ নষ্ট হতে পারে আশঙ্কা করে প্রধান আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ইডি। তাহলে কি এবার ইডি গ্রেফতার করবে শাহজাহান শেখকে।
এমনিতেই গত ৫ জানুয়ারি ইডির উপর হামলার ঘটনায় এফআইআর রয়েছে শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে। তার উপরে রেশন দুর্নীতির যোগ রয়েছে। কোন অভিযোগ দেখিয়ে হেফাজতে নেবে ইডি। এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে নিয়ে গেলে নিশ্চয় ইডি তিহাড় জেলেই রাখবে শাহজাহান শেখকে। তাহলে কি কেষ্টর পাশেই ঠাঁই হবে সন্দেশখালির বাঘের। কোন পরিকল্পনা চলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে। এতোদিন তো বাঘ খাঁচার বাইরে ছিল। এবার খাঁচা বন্দি হয়েছে বাঘ। কী করবেন তাঁরা।