বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:নির্বাচন কমিশনার অনুপচন্দ্র পাণ্ডের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৫ ফেব্রুয়ারি। সেই জায়গায় নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ এবং পরিষেবার শর্তাবলী ও অফিসের মেয়াদ আইন ২০২৩-এর অধীনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক হতে চলেছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী এই আলোচনায় হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। এক সরকারি আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং অধীর চৌধুরী সন্ধে সাড়ে সাতটায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হওয়া বৈঠকে যোগ দেবেন।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে ২০২৩-এ নতুন আইন হওয়ার পরে এটাই প্রথম নিয়োগ। এখন পর্যন্ত দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার অবং অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি। এই আইনের অধীনে প্রধানমন্ত্রী, তাঁর মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা বা একক বৃহত্তম বিরোধী দলের নেতাকে নিয়ে গঠিত নির্বাচনী কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে নাম সুপারিশ করবেন।
এখানে বাছাই প্রক্রিয়া দুই কমিটি নিয়ে গঠিত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বাছাই কমিটি এবং আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি। সার্চ কমিটি বাছাই কমিটির কাছে পাঁচটি নাম সুপারিশ করে, পরবর্তীতে তালিকার বাইরে থেকে কমিশনার বাছাই করার ক্ষমতা দেওয়া হয়।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, গত ১২ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ, পরিষেবার শর্তাবলী ও অফিসের মেয়াদ আইন পাসের সময় বিরোধীরা ওয়াক আউট করে। তাদের অভিযোগ ছিল এই আইন অগণতান্ত্রিক। যদিও সরকারের তরফে দাবি করা হয়, বিলটি সম্পূর্ণভাবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। বিলটি ২০২৪-এর ২ জানুয়ারি আইনে পরিণত হয়।